নাটোরের সিংড়া-বারুহাস রাস্তার বিয়াশ বাজার থেকে একটু অদুরে ঠেঙ্গাপাকুড়ীয়া গ্রাম। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচারণায় ঠেঙ্গাপাকুড়ীয়া গ্রামে এসেছিলেন বর্তমান তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় গ্রামবাসীর দাবির মুখে নির্বাচনের পরে এক বছরের মধ্যেই গ্রামে ঢোকার একমাত্র রাস্তাটি পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। পরে গ্রামবাসী খুশি হয়ে রাস্তাটির নাম দেন ‘পলক সড়ক’। নাম ফলক তৈরি করে ঝুলিয়ে দেন রাস্তার দুই ধারে। তবে তিন বছর পার হলেও এখনও সেই রাস্তাটি পাকা হয়নি। এতে যাতায়াতের চরম দুর্ভোগ পোহচ্ছেন গ্রামবাসী। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটিতে পায়ে হেঁটে চলাচল করারও কঠিন হয়ে পড়েছে।
গ্রামবাসীরা জানান, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে প্রথমে রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এমএম আবুল কালামের সহযোগিতায় প্রতিমন্ত্রীর অনুদানে রাস্তার কাজ সম্পন্ন করা হয়।
সরেজমিনে রাস্তার বেহালদশা চোখে পড়ে। রাস্তার দুপাশের মাটি ভেঙে জমিতে পড়ে গেছে। কোনো কোনো জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
ঠেঙ্গাপাকুড়ীয়া গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, খরা মৌসুমে আমরা জমির আইল দিয়ে বিয়াশ ও বারুহাস বাজারে যাতায়াত করতাম। বর্ষা মৌসুমে কখনো নৌকা আবার অনেক সময় নৌকার অভাবে গামছা ব্যবহার করে সিংড়া-বারুহাস রাস্তায় উঠতাম। পরে গ্রামবাসী চাঁদা তুলে, স্বেচ্ছাশ্রমে ও প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের সহযোগিতায় আজ থেকে তিন বছর আগে রাস্তা নির্মাণ করি। আমরা চাই প্রতিমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনযায়ী আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি দ্রুত পাকা করা হোক।
আরও পড়ুন: মির্জাপুরে পানির নিচে শত শত হেক্টর বোরো ধান
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আকবর হোসেন বলেন, চলনবিলের প্রত্যন্ত এই অঞ্চলে প্রায় সব গ্রামেই কমবেশি পাকা রাস্তা আছে। এই এক কিলোমিটার রাস্তা পাকা করা হলে শুধু ঠেঙ্গাপাকুড়ীয়া নয়, পাশের কয়েক গ্রামের সাধারণ মানুষও যোগাযোগ সুবিধা পাবেন।
এদিকে প্রতিমন্ত্রী পলকের পিও রাকিবুল ইসলাম জানান, ইতিমধ্য প্রতিমন্ত্রী মহোদয় সংশ্লিষ্টদের দ্রুত রাস্তা পাকা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আশা করি এলাকাবাসীর সুবিধার্তে রাস্তাটি দ্রুত পাকাকরণের কাজ হবে।
ইত্তেফাক/এসি