শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ভারতে গণপিঠুনিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের লাশ হস্তান্তর

আপডেট : ০৬ জুন ২০২০, ২০:১০

ভারতে অনুপ্রবেশ করায় গরু চোর সন্দেহে জনতার পিঠুনিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক রনজিত রিকমুনের লাশ বিজিবি’র কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।  শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় সিলেটের সুতারকান্দি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তার লাশ হস্তান্তর করা হয়। 

এসময় বিজিবি’র পক্ষে সহকারী পরিচালক মমিনুল ইসলাম, বড়গ্রাম ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো. আলী আজগর ও জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ইমামুল মুন্তাসির এবং বিএসএফ’র পক্ষে সুতারকান্দি ক্যাম্পের কমান্ডার ইন্সপেক্টর বিষ্ণ কুমার, পাতরকান্দি থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর তানভির আহমদ উপস্থিত ছিলেন। 

লাশ গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা শেষে পরিবারের কাছে লাশ তুলে দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন নিহত রনজিতের মা, কাকা চৈতা রিকমুন, আগনু রিকমুন, বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি যাদব রুদ্র পাল, ইউপি সদস্য মিলন রুদ্র পাল ও মহিলা সদস্য জানকি দুশাদ। রাতেই ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী তার লাশ সৎকার করা হয়।

আরও পড়ুন: সরকারের প্রথম ক্ষতিপূরণ পেতে চলেছেন ডা. মঈনের পরিবার

এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিএসএফ ওই সীমান্তে লাশ নিয়ে এলে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট না থাকায় বিজিবি লাশ গ্রহণ না করে ফেরত দেয়। পরে শুক্রবার নিহত রনজিতের লাশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন, মামলার এজাহারের কপি ও করোনা পরীক্ষার রিপোর্টসহ লাশ হস্তান্তর করা হয়।

বিজিবি জানায়, জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের ধামাই চা বাগানের নিয়মিত শ্রমিক এবং বাজারটিলা এলাকার বাসিন্দা রশিক লাল রিকমুনের ছেলে রনজিত রিকমুন (৩০) ও একই উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের শিলুয়া চা বাগানের ফাঁড়ি কুচাই চা বাগানের মৃত গাজু মুন্ডার ছেলে মলেন মুন্ডা (৩২) গত রবিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলা সীমান্তের ওপারে ভারতের করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি থানার পুঁথনি চা বাগানের চম্পাবাড়ী এলাকায় অনুপ্রবেশ করে। তখন স্থানীয় জনতা গরু চোর সন্দেহে ওই দু’জনসহ চার জনকে গণপিঠুনি দেয়। এতে রনজিত ঘটনাস্থলে মারা যায় এবং মলেনসহ তিন জন আহত হয়। অপর দুইজন ভারতীয় নাগরিক। ভারতের করিমগঞ্জ হাসপাতালে নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত হয় এবং আহতরা সেখানে পুলিশী পাহারায় চিকিৎসাধীন।

ইত্তেফাক এসি