রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া এক ব্যক্তিকে গ্রামের বাড়িতে সামাজিক কবর স্থানে দাফনের সময় গ্রামবাসী বাধা দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে মঙ্গলবার (৯ জুন) ভোর রাতে পরিবারের লোকজন গোপনে তাকে দাফন করেন। নিহত ব্যক্তির নাম নুরুন্নবী মিয়া (৩২)। তিনি উপজেলার অনন্তরাম চড়কতলা গ্রামের ছাকা মন্ডলের ছেলে।
জানা গেছে, সিএনজি রিকশা চালক ওই ব্যক্তিকে ঢাকা থেকে মাইক্রোবাস যোগে গ্রামের বাড়িতে নেওয়ার পথে গাইবান্ধায় মারা যান। পরে তার লাশ এলাকায় পৌঁছালে সামাজিক কবর স্থানে দাফনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে এলাকাবাসী তার লাশ দাফনে বাধা দেয়।
পারিবারিক ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা যায়, ওই ব্যক্তি ঢাকায় পরিবারসহ বসবাস করতেন। সেখানে সিএনজি রিকশা চালাতেন তিনি। গত সপ্তাহে তার জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। পরিবারের লোকজন গ্রামের বাড়িতে নেওয়ার পথে সোমবার রাত ১১ টায় মারা যান তিনি। গভীর রাতে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছায়। পরিবারের লোকেরা লাশ স্থানীয় সামাজিক কবর স্থানে দাফন করতে চাইলে এলাকার লোকজন এতে বাধা দেয়। পরে ভোর রাতে গোপনে নিহতের লাশ পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়। দাফনের আগে লাশের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ না করায় বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলাম বলেন, নিহতের পরিবারের লোকজন তার শরীরে করোনা উপসর্গ ছিলো বলে জানায়। আমি বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করেছি। তাকে গোপনে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে।
পীরগাছা থানায় ওসি রেজাউল করিম জানান, নুরুন্নবীর করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি স্থানীয় লোকজন আমাকে জানায়। আমি তার নমুনা সংগ্রহের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করতে বলেছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. সানোয়ার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমীন প্রধান বলেন, ‘নুরুন্নবীর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বলে আমাকে জানানো হয়েছে। এ উপজেলায় করোনায় কারো মৃত্যু হলে তাদের দাফনের জন্য আমাদের টিম তৈরি করা আছে।’
ইত্তেফাক/এএএম