খুলনায় ডা. আব্দুর রকিব খান হত্যা মামলায় গ্রেফতার আরও দুই আসামিকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এছাড়া মামলার প্রধান আসামি জমির শেখ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। শুক্রবার খুলনার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুস সামাদ এ রিমান্ড মঞ্জুর ও জমির শেখের দেওয়া ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার মামলার আরেক আসামি খাদিজা বেগম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। একই দিনে আসামি আব্দুর রহিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: করোনার নমুনা সংগ্রহকারী দলের ওপর হামলা
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা সদর থানার সহকারী পরিদর্শক (এসআই) বিএম মনির হোসেন জানান, ডা. রকিব হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি জমির শেখ, আব্দুর রহিম, আবুল আলী, গোলাম মোস্তফা ও খাদিজা বেগমকে টঙ্গী ও খুলনার রূপসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে শুক্রবার আদালত আবুল আলী ও গোলাম মোস্তফার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন খুলনা মহানগরীর মোহাম্মদ নগরের পল্লবী সড়কের বাসিন্দা আবুল আলীর স্ত্রী শিউলী বেগমকে গল্লামারী এলাকার রাইসা ক্লিনিকে সিজার করা হয়। পরে রোগীর রক্তক্ষরণ শুরু হলে ১৫ জুন সকালে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। খুমেকের চিকিৎসকরাও রোগীর রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে না পেরে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন। ঢাকায় নেওয়ার পথে ওই দিন রাতে শিউলী বেগম মারা যান। ওই ঘটনার জেরে ১৫ জুন রাত পৌঁনে ৯টার দিকে শিউলীর আত্মীয়-স্বজনরা রাইসা ক্লিনিকে গিয়ে ক্লিনিকের মালিক ডা. রকিবকে মারধর করেন। এতে রকিবের মাথার পেছনে জখম হয়। তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে নগরীর গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডা. রকিবের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত রাকিব খানের ছোট ভাই খুলনা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম গত ১৭ চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরো ৮-১০জনকে আসামি করে খুলনা সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ইত্তেফাক/এসি