গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি গত চার দিন থেকে ধীর গতিতে কমতে থাকলেও গত বৃহস্পতিবার তিস্তার পানি স্থিতাবস্থায় ছিল। কিন্তু শুক্রবার তিস্তার পানি আবার বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ফলে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় নদী তীরবর্তী মানুষের মধ্যে আবার নতুন করে বন্যার আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
এদিকে বন্যার পানি কমতে থাকায় তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে সাঘাটা উপজেলায়। শুক্রবার যমুনা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়। হুমকিতে আছে আশপাশের দু’শতাধিক বসতবাড়ী। স্থানীয়রা ঘরবাড়ী সড়িয়ে অন্যেত্রে নিয়ে যাচ্ছেন।
গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল কাশেম বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় স্কুলের মাঠসহ দু'টি ক্লাসরুম নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। যে কোন সময় সম্পূর্ণ ভবনটি নদীতে বিলীন হতে পারে। তাই আমরা বাকি ক্লাসরুমগুলো সরে নিয়ে যাচ্ছি।’
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোখলেছুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ব্র্হ্মপুত্রের পানি ৭ সেন্টিমিটার ও ঘাঘটের পানি ৬ সেন্টিমিটার কমেছে। তবে ব্রহ্মপুত্র এখনও বিপৎসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।
অন্যদিকে, করতোয়ার পানি ১০ সেন্টিমিটার কমেছে আর তিস্তার পানি স্থিতাবস্থা থেকে শুক্রবার হঠাৎ ১৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে করতোয়া ও তিস্তা এখনও বিপৎসীমার অনেকটা নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয় স্থানে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে দ্রুত কাজ শুরু করা হচ্ছে।
ইত্তেফাক/কেকে