রাজবাড়ীতে সুরাইয়া আক্তার নামের এক বছরের এক কন্যা শিশুকে পুকুরে ফেলে হত্যার ফেলার অভিযোগ উঠেছে মা হনুফা বেগম ওরুফে সুমি (৩০) বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানিবহ ইউনিয়নের বার্থা বিলপাড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনা পর থেকে পলাতক রয়েছে মা সুমি। দুপুরে স্থানীয় মজিদের পুকুর থেকে মৃত অবস্থায় শিশু সুরাইয়াকে উদ্ধার করেছে শিশুটির নানি রওশন আরা বেগম।
নিহত সুরাইয়া বার্থা এলাকার আলমগীর হোসেনের মেয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশী নমিতা হালদার বলেন, গরুর খাবারের জন্য স্থানীয় মজিদের পুকুর পাড়ে খড় আনতে গিয়ে দেখি শিশু সুরাইয়াকে কোলে করে তার মা সুমি বেগম চুমু খাচ্ছে ও আদর করছে। পরে আমি চলে আসি। এর কিছুক্ষণ পর দেখি সে একা দৌড়ে চলে যাচ্ছে। তাকে ডাকলেও সে ফিরে তাকায়নি। এর কিছুক্ষণ পরে শিশুটির নানী ও তার আরেক নাতনী তাঞ্জিলাসহ পুকুর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে। পরে আমরা দৌড়ে গিয়ে দেখি শিশুটিকে নিয়ে পেটের পানি বেড় করার চেষ্টা করেছি। এরপর শিশুটিকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
শিশুটির নানী রওশন আরা জানান, সুমিকে দেখালাম নাতনিকে নিয়ে শুয়ে আছে। আমরা বাইরেই কাজ করছিলাম। হঠাৎ কেন এমন হলো বুঝে উঠতে পারছিনা। পুকুর থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাড়িতে সুমিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, দুই বছর আগে বানিবহ ইউনিয়নের বার্থা গ্রামের মো. হাবিবুর রহমানের মেয়ের বিয়ে হয় রাজবাড়ী থানার আলমগীর হোসেনের সঙ্গে। গত ৬ মাস আগে সুমি তার বাবার বাড়ি আসে। কিন্তু আর স্বামীর বাড়ি যায়নি।
রাজবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইত্তেফাক/এসি