কুমিল্লার চান্দিনায় ‘ডেনিম প্রসেসিং প্লান্ট লিঃ’ এর এক নারী পোশাকশ্রমিককে গণধর্ষণের সংবাদ প্রকাশ করায় দুই সাংবাদিককে মারধর করছে ওই কারখানার মালিকপক্ষ। বৃহস্পতিবার সকাল পৌঁনে আটটায় চান্দিনার বেলাশহর এলাকায় অবস্থিত ওই গার্মেন্টেসের সামনের সড়ক থেকে তাদেরকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে মারধর করে ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
আহতরা হলেন- দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার চান্দিনা প্রতিনিধি মো. আব্দুল বাতেন ও দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার চান্দিনা প্রতিনিধি মো. জাকির হোসেন। এর মধ্যে সাংবাদিক আব্দুল বাতেন চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
‘ডেনিম প্রসেসিং প্লান্ট লিঃ’ মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলমের চাচাতো ভাই ও গার্মেন্টসের কোয়ালিটি সুপারভাইজার মো. লিটন, তার ভাই আনোয়ার হোসেন সহ ১০/১২ জন ওই হামলা চালায়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাংবাদিক আব্দুল বাতেন জানান, আনোয়ারের নেতৃত্বে তাদের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ক্যামেরা ও মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয় তারা।
এ ঘটনার পর চান্দিনা পুলিশ ও চান্দিনায় কর্মরত সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে গার্মেন্টসের ডাইরেক্টর মো. আলমগীর হোসেন বলেন, কোনো নারী শ্রমিক ধর্ষিত না হলেও সাংবাদিকরা আমাদের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এমনটা হতে পারে।
গত সোমবার রাত নয়টায় ওই গার্মেন্টসে ছুটির পর বাসায় ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার হয় এক নারী শ্রমিক। ওই রাতেই চান্দিনা থানা পুলিশ তিন ধর্ষককে আটক করে এবং ঘটনাস্থলটি দেবীদ্বার থানায় হওয়ায় পরদিন দেবীদ্বার থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার ওসি মো. আবুল ফয়সল বলেন, পুলিশ পাঠিয়েছি। পুলিশ পুরো ঘটনা শুনে এবং গার্মেন্টসের সিসি টিভির ফুটেজ দেখে সাংবাদিকদের মারধরের সত্যতা পায়। এছাড়া গত ৬ জুলাই রাতে ওই গার্মেন্টেসের এক নারী শ্রমিক ধর্ষণের ঘটনাও সত্য। সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইত্তেফাক/এএম