শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

গাজীপুর থেকে অপহরণের ২দিন পর শিবচর থেকে শিশু উদ্ধার

আপডেট : ১১ জুলাই ২০২০, ০৮:৩৩

গাজীপুর থেকে অপহরণের ২দিন পর শিবচরের কাঠালবাড়ী ঘাট থেকে প্রবাসীর অপহৃত সাড়ে তিন বছরের শিশুকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উদ্ধার করেছে শিবচর থানা পুলিশ। শুক্রবার (১০ জুলাই) গাছা থানা পুলিশ টিমের উপস্থিতিতে পরিবারের সদস্যদের কাছে শিশুটিকে বুঝিয়ে দেয়া হয়।

শিবচর থানা পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের গাছার মধ্যপাড়া গ্রামে গ্রীস প্রবাসী আব্দুল কাদেরের স্ত্রী সাজেদা আক্তার তার সাড়ে ৩ বছরের একমাত্র শিশু ছেলে আবদুল্লাহকে নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। মঙ্গলবার তার বাড়িতে এক নারী বাসা ভাড়া নেয়। বাসা ভাড়া নেয়ার পর বাড়িওয়ালা সাজেদার সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে। বুধবার বেলা ১১ টার দিক ওই ভাড়াটিয়া নারী শিশু আবদুল্লাহকে নিয়ে বাজারে যেতে চাইলে শিশুটির মা স্বাচ্ছন্দেই বাজারে যেতে দেন। কিন্তু এক ঘণ্টার বেশি সময় পার হলেও ওই নারী শিশু সন্তানকে নিয়ে ফিরে না আসলে মা সাজেদা তাকে ফোন দেন। সে বলে আমি ১০/১৫ মিনিট পর আসছি। এরপরও সে না ফেরায় আবারো আধা ঘণ্টা পর ফোন দিলে সে একই কথা বলে। কয়েক ঘণ্টা পর ওই নারী সাজেদার কাছে সন্তানকে পেতে হলে ৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এরপর মঙ্গলবার রাতেই শিশুটির মা সাজেদা গাজীপুরের গাছা থানায় অভিযোগ করে।পুলিশ ও র‌্যাব মাঠে নামে। কিন্তু বারবার স্থান পরিবর্তন করে অপহরণকারীরা। এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত শিশুটি কাঠালবাড়ি ফেরি ঘাটে কাঁদতে থাকায় পুলিশ উদ্ধার করে। পরে ওর গেঞ্জিতে লেখা থাকা ওর মায়ের মোবাইল নাম্বারে কল দিয়ে শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবুল কালাম আজাদ নিশ্চিত হন শিশুটি অপহরণের শিকার হয়েছে। শুক্রবার সকালে শিশুটির পরিবারের সদস্যরা গাছা থানা পুলিশের টিম নিয়ে আবদুল্লাহকে নিতে শিবচর থানায় আসেন।

অপহৃত আব্দুল্লার মামা দাদন মিয়া বলেন, অপহরণের পরেই অপরিচিত নাম্বার থেকে আমাদের কাছে ফোন আসে এবং সাত লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে আব্দুুল্লাকে মেরে ফেলবে বলে। পরে আমরা গাছা থানা পুলিশকে জানাই এবং মামলা করি।

শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, শিশুটিকে উদ্ধারের পরেই আমরা বিভিন্ন ভাবে তার পরিবারকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করি। এবং গাজীপুরের গাছা থানা পুলিশের উপস্থিতিতে শিশুটিকে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করি।

ইত্তেফাক/কেকে