শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সেতু ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার পরও চলছে ২৫-৩০ টন ওজনবাহী ট্রাক ও লরি

আপডেট : ১১ জুলাই ২০২০, ২১:১৬

ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর চীন মৈত্রী সেতুটি গত ২৯ জুন বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় এর আঘাতে সেতুর মাঝের ঘাটারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে সেতুর এক অংশ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সড়ক ও সেতু বিভাগের পক্ষ থেকে ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। 

সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও সেতুর ইজারদার আলম তার লোকজনকে দিয়ে এক হাজার টাকা হারে টোল নিয়ে ২৫ থেকে ৩০ টন ওজনবাহী মালামালের লরি ও ট্রাক রাত আটটা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত চলাচল করাচ্ছে। তবে প্রশাসন নীরব ভূমিকায় রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। 

এলাকাবাসী ও বিশেষজ্ঞদের মতামত ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে এ ধরণের ভার নিয়ে যানবাহন চলাচল করলে সেতুটি আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়তে পারে। 

ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে ২৫ থেকে ৩০ টন ওজনের  মালবাহী লরি ও ট্রাক কেন চলছে এ বিষয় কথা বলার জন্য সেতুর টোল ইজারাদার আলম হোসেনের কাছে মোবাইলে ফোনে জানতে চাইলে তিনি রাগান্বিত হয়ে বলেন, ‘আপনাদের আর কোন কাজ নাই। সেতুতে কোন গাড়ি চলবে না চলবে এটা প্রশাসনের ব্যাপার। আপনার কাজ আপনি করুন।’

আরো পড়ুন: মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের ওপর নিপীড়নের তদন্ত ও রায়হানের নিরাপত্তা দাবি ২১ সংগঠনের

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো শাহ জামান বলেন, ‘পোস্তগোলা সেতু ও ঢাকা মাওয়া রোড দেখার দায়িত্ব হাইওয়ে পুলিশের। তার পরও ছিনতাই ও চুরিসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে থানা পুলিশ টহল ডিউটির দায়িত্ব পালন করে থাকে।’

হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট আব্দুল আজিজ বলেন, ‘আমরা যতক্ষণ ডিউটিতে থাকি, তখন কোন ভারী যানবাহ চলাচল করে দিইনে।’

ঢাকার পোস্তগোলা এলাকার এই চীন মৈত্রী সেতুটি দিয়ে বরিশাল ও খুলনাসহ ২৩ টি জেলার যোগাযোগ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে আসছে। এ ধরণের ভারী যানবাহন চলাচল করার কারণে সেতুটি আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে। তাই অবিলম্বে এধরণের ভারী যান চলাচল বন্ধ করার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এলাকাবাসী।

ইত্তেফাক/এএএম