শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

আপডেট : ১২ জুলাই ২০২০, ১৬:১২

১০ দিনের ব্যবধানে আবারও বন্যার কবলে পড়েছে সুনামগঞ্জ। গত তিন দিনের বৃষ্টিপাতে সুনামগঞ্জের সুরমা, যাদুকাটা, চেলানদী, চলতি নদীর পানিসহ জেলার সবকটি নদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। জেলার ১১টি উপজেলার চারটি পৌরসভা ও ৮১টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। দুর্ভোগে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, রবিবার সকাল থেকে সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্ট দিয়ে বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হবে। 

নদনদীর পানি বাড়ায় জেলা সদরের সঙ্গে তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক, জামালগঞ্জ উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র মধ্যবাজার, পশ্চিমবাজার, সাববাড়িরঘাট এলাকার প্রধান সড়কে চলছে নৌকা। 

অন্যদিকে শহরের কাজীরপয়েন্ট, উকিলপাড়া, ষোলঘর, নবীনগর, ধোপাখালী, মল্লিকপুর, বড়পাড়া, তেঘরিয়া, ওয়েজখালী, কালীপুর হাছনবসত, শান্তিবাগ, মরাটিলা, টিলাপাড়া, নুতনপাড়া,কালিবাড়ীসহ সবকটি আবাসিক এলাকা পানিতে ঢুবে আছে। 

বন্যা কবলিত এলাকার ঘরবাড়িতে পানি উঠে যাওয়ায় বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খাবারের সঙ্কট বেড়েই চলেছে। সরকারিভাবে ত্রাণ তৎপরতা শুরু হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন বন্যা কবলিত মানুষরা।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জানান, আশ্রয় কেন্দ্র  গুলোতে পর্যাপ্ত পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট রাখতে বলা হয়েছে। আমাদের কাছে প্রায় ৩ লাখ ট্যাবলেট মজুদ আছে। ২৫৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ১৩৪৪টি পারিবারের বিভিন্ন বয়সের ৫২৭৬ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। জেলার ৮১ টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌর সভার ২০ ওয়ার্ডে ও ৭০ হাজার ৩২০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ৩৩৭ মেট্রিকটন চাল, ২০ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা ও ৩৬০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মানবিক সহায়তা কর্মসূচির মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া দুর্গত এলাকায় পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট ও প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রসহ মেডিকেল টিম কাজ করছে।

ইত্তেফাক/এসি