মির্জাপুরে (কোভিট-১৯) করোনায় আজ সোমবার প্রকাশ কর্মকার (৬০) নামে ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি মির্জাপুর বাজারের কালিবাড়ি রোডের স্বর্ণ ব্যবসায়ী। সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি মির্জাপুর পৌরসভার সারিষাদাইড় গ্রামে। করোনায় তার স্ত্রী, পুত্রসহ এবং পুত্রবধূও আক্রান্ত হয়েছে।
এদিকে আজ সোমবার মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের (পিটিসির) অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার সুপার কাজী নুসরাত লুনা, উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. শাহ জামাাল ও পুলিশ সদস্যসহ নতুন ২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন ২০ জনসহ মির্জাপুরে মোট আক্রান্ত হলেন ৩২৮ জন। মারা গেছেন ৬। আজ রবিবার এ তথ্য জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাকসুদা খানম। দিন দিন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় মির্জাপুরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র সূত্র জানায়, মির্জাপুর পৌরসভায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশী। মির্জাপুর উপজেলায় এ পর্যন্ত ৩২৮জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং করোনায় মারা গেছেন ৬জন যা টাঙ্গাইল জেলার ১২ উপজেলার মধ্যে সর্বাধিক। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৬২ জন। হাসপাতাল ও বাসা বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন ১৬০জন এবং মারা গেছে ৬জন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর্জা মো. জুবায়ের হোসেন ও মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সায়েদুর রহমান বলেন, পৌরসভার প্যানেল মেয়র, ১৪ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সমন্ময়ে প্রতিটি এলাকায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে জনগণকে চলার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। বিভিন্ন হাট বাজার নিয়মিত মনিটিং করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল মালেক মোস্তাকিম বলেন, করোনায় যারা আক্রান্ত হয়েছেন তারা নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী এবং স্বাস্থ্য বিভাগ দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলার জন্য জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে।
ইত্তেফাক/আরকেজি