শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বংশাই-লৌহজং নদীর পানি বিপদসীমার ওপর

আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২০, ১৩:২৬

মির্জাপুরে বংশাই-লৌহজং নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নদী ভাঙ্গন। এক দিকে নদী ভাঙ্গন ও অপরদিকে বন্যার পানির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় বহু পরিবার পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশেষ করে বন্যা কবলিত এলাকার লোকজন গবাদি পশু নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। আজ মঙ্গলবার উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বন্যা কবলিত অসহায় পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রউফ জানান, মির্জাপুর উপজেলার উত্তরে বংশাই ও দক্ষিণে প্রবাহিত লৌহজং নদী। দুইটি নদী মির্জাপুর শহরকে দুই খন্ডে বিভক্ত করেছে। গত ১৫-২০ দিন ধরে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চলে ঢুকে পড়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে বংশাই নদীর ফতেপুর, হিলড়া আদাবাড়ি, থলপাড়া, বৈন্যাতলী, চাকলেশ্বর, গোড়াইল, গাড়াইল, পুষ্টকামুরী পুর্বপাড়া, বাওয়ার কুমারজানি, ত্রিমোহন, বান্দরমারা, যুগিরকোপা, রশিদ দেওহাটাসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। নদী ভাঙ্গনে কয়েক শতাধিক পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। 

সরকারিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এখন পর্যন্ত কোন ত্রাণ সহায়তা পাননি। একই অবস্থা লৌহজং নদীর মাঝালিয়া, গুনটিয়া, চুকুরিয়া, বরাটি, দেওহাটা, কোর্ট বহুরিয়া, বহুরিয়া, কামারপাড়া, নাগরপাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকা। বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় নিম্নাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকায় আঞ্চলিক রাস্তা ডুবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্রিজ, কালভার্ট ও রাস্তা-ঘাট। 

ইতিমধ্যে কদিমধল্যা-বাসাইল সড়কের আদাবাড়ি এলাকায় রাস্তা ভেঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো জানিয়েছেন এখন পর্যন্ত তারা কোন ত্রাণ সহায়তা পাননি। এদিকে নদীতে পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় বংশাই নদীর থলপাড়া ব্রিজ, ত্রিমোহন বীর মুক্তিযোদ্ধা একাব্বর হোসেন ব্রিজ, লতিফপুর ব্রিজ, লৌহজং নদীর গুনটিয়া ব্রিজ, বরাটি বাবু দুঃখীরাম রাজবংশী ব্রিজ, পুষ্টকামুরী ব্রিজ, পাহাড়পুর ব্রিজ এবং ওয়ার্শি ব্রিজ হুমকির মুখে বলে জানা গেছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল মালেক মোস্তাকিম এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় বরাদ্ধ চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইতিমধ্যে আলোচনা হয়েছে।


ইত্তেফাক/আরকেজি