করোনা ভাইরাস ও অন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম কানসাট আম বাজার এখনও জমে ওঠেনি।
সরেজমিন, আম বিক্রেতাদের ভ্যানে করে ও সাইকেলে নিয়ে আসা আম নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। দুই একজন ক্রেতা থাকলেও দাম তেমন হাঁকছেন না।
আম বিক্রি করতে আসা কানসাট ইউনিয়নের শিবনারায়ণপুর গ্রামের মাইনুল ইসলাম বলেন, প্রতি মণ আ¤্রপালি আম ছাব্বিশ টাকা দাম বলা হেেছ। এই দামে বিক্রী করলে প্রায় দুই হাজার টাকা লোকসান হবে। তাই আম নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি।
মনাকষা ইউনিয়নের সিংনগর গ্রামের সুমন জানান, বাজারে গুঠি আমের দর নিম্নে এক হাজার টাকা ও ঊর্ধ্বে পনেরশ টাকা। সবমিলিয়ে চার মণ আমে প্রায় দুই হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে।
অন্যর জানালেন, এখানে ওজনে এক মণে প্রায় ৪৮ থেকে ৫০ কেজি আম দিতে হচ্ছে। যদিও নিয়ম অনুযায়ী ৪৬ কেজি দেওয়ার কথা।
ঢাকা থেকে আগত আম আড়তদার আহসান আলি জানান, করেনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমের উৎপাদন কম হওয়ায় কানসাট বাজারে আমের আমদানিও কম। এ বছরে এখন পর্যন্ত প্রায় চার লাখ টাকা লোকসনা হয়েছে। সামনে আরও লোকসান হতে পারে। এ বছর ফড়িয়াদের কারণে আম কেনাবেচায় বিঘ্ন ঘটছে।
তাদের ভাষায় বর্তমানে আমের দর হলো- গুঠি আম মণ প্রতি ষোলশ আটারোশ টাকা, ফজলী আঠারোশ থেকে দুই হাজার দুইশ টাকা, অম্রপালি বারোশ থেকে তিন হাজার পাঁচশ টাকা, হিম সাগর সাড়ে সাত হাজার থেকে আট হাজার টাকা, আশ্বিনা ছয়শ থেকে আটশ টাকা, লখনা দুই হাজার থেকে একুশ’শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কানসাট আম বাজার আড়ত মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক উমর ফারুক টিপু জানান, দাম ভাল থাকায় আমদানি কম হলেও ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে। কানসাটে আম ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সব ধরনের মানুষের নিরাপত্তা জোরদার আছে। আমের দর ভালো আছে। এবছর মাত্র হাজার দুয়েক শ্রমিক কাজ করছে। কানসাট আমবাজার থেকে এ বছর সরকার রাজস্ব পেয়েছে এক কোটি ৫৩ লাখ টাকা। গত বছর আরও বেশি ছিল। কিন্তু কানসাট বাজারের কোনো উন্নয়ন না হওয়ায় নানাবিধ সমস্যর সৃষ্টি হচ্ছে।
ইত্তেফাক/এসি