শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি 

আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২০, ২০:০৯

ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১২৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পউবো) জামালপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সাঈদ এবং পানি মাপক গেজ পাঠক আব্দুল মান্নান। বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ৭টি উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় ৪৬টি ইউনিয়ন বন্যা পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় ৬ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

জেলার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুর। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া বলেন, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় প্রায় দুই লাখ মানুষ পানিবন্দি। এ উপজেলায় পাঁচটি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে পাঁচ শাতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের মাঝে ৩৭ মেট্রিক টন চাউল, নগদ আড়াই লাখ টাকা ও এক হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ৫৭ হাজার পরিবারের মাঝে ভিজিএফ এর চাল বিতরণের কার্যক্রম চলছে। এই উপজেলায় গো খাদ্যের জন্য ৫০ হাজার ও শিশু খাদ্যের জন্য ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

ইসলামপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, এ উপজেলায় দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এ উপজেলায় ৪৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৬ হাজার ১৬০জন মানুষ অবস্থান করছেন। চলতি বন্যায় দুর্গতদের মাঝে ১৯ মেট্রিক টন চাউল, দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে জিআর এর পাশাপাশি ভিজিএফ চাল বিতরণ শুরু করা হবে বলে জানান।

কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক মো.আমিনুল ইসলাম জানান, বন্যার পানিতে ৭৩৯ হেক্টর জমির আমন বীজতলা, ১৬ হাজার ৬৬ হেক্টর জমির আউস ধান এবং ২১হাজার ২৭ হেক্টর জমির পাট তলিয়ে গেছে।

ইত্তেফাক/আরকেজি