শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কুমারখালীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জমির ধান কাটার অভিযোগ

আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২০, ১১:০৪

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের সান্দিয়ারা গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে কৃষকের জমির পাকা ধান জোরপূর্বক কেটে নিচ্ছে প্রতিপক্ষরা। এমন অভিযোগ উঠেছে একপক্ষে নেতৃত্ব দেওয়া রাজাপুর গ্রামের নওয়াব আলীর ছেলে সামিউর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,গত ৬ জুলাই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই সংঘর্ষে বিল্লাল নামের একজনের মৃত্যু হয়। দু’পক্ষের মামলায় দুই গ্রামের প্রায় ২ শতাধিক মানুষের নামে থানায় মামলা হওয়ার পর থেকে বর্তমানে পুরুষ শূন্য ডাসা গ্রাম। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সুমন পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে রাজাপুরে ডাসা গ্রামের অসহায় কৃষকদের ধান লোক মারফত কেটে নিয়ে চলে যাচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ডাসা গ্রামের অসহায় কৃষকরা।

ভুক্তভোগী কৃষক আমজাদ হোসেন বলেন, উপজেলার পান্টি সান্দিয়ারার ডাসা গ্রাম ও রাজাপুর গ্রামের সাথে আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন বিবাদ চলছিল। এরই জেরে গত
৬ জুলাই দুই এলাকার গ্রামবাসীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে বিল্লাল নামে একজন নিহত হয়। এরপর থেকে দুই গ্রামের মানুষের মাঝে আগের তুলনায় বেশি
উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকালে আমার কুমারখালী উপজেলার ১৯১ নং সান্দিয়ারা মৌজার ৪৯৭ ও ৫৩১ নং আর এস দাগে রোপিত পাকা ধানের জমিতে সুমন গং’রা দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে পাকা ধান কাটতে থাকে। সংবাদ পেয়ে আমিসহ গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ধান কাটার কাজে বাঁধা দিলে সুমন গংরা আমাদের মারপিট করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ সময় তারা প্রায় ১৬০ মন পাকা ধান কেটে ভ্যান ও ঘোড়ার গাড়িতে করে নিয়ে যায়। এতে আমার প্রায় দেড় লাখ টাকার পাকা ধান এবং প্রায় ২০ হাজার টাকা মূল্যের কাঁচা ধানের ক্ষতিসাধন হয়েছে।

ডাসা মহর আলী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল বারী বলেন, খুরশেদুল আলম মামুন পান্টি ইউনিয়নের অসহায় মানুষের বিপদ আপদে সব সময় পাশে থাকে। পার্শ্ববর্তী গ্রাম রাজাপুরের সাথে দীর্ঘদিনের বিবাদ থাকা সত্ত্বেও তিনি সেই গ্রামকে অবহেলা করেন নাই। ডাসা গ্রামের সন্তান হয়ে খুরশেদুল আলম মামুন সমগ্র পান্টি ইউনিয়নের মধ্যে এমন ভালো কাজ করার কারণে রাজাপুর গ্রামের সুমনসহ আরও অনেকের মাঝে হিংসার সৃষ্টি হয় এবং তারই জের ধরে তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে ডাসা গ্রামের মানুষদের ক্ষতিসাধন
করার জন্য উঠে পরে লাগতে থাকে। 

তিনি বলেন, অধিকাংশ অসহায় পরিবারের জীবিকা নির্বাহ হয় ধান চাষ করে। আর এই পাকা ধান যদি এভাবে জোরপূর্বক কেটে নিয়ে যায় তাহলে না খেয়ে মরে যাবে গ্রামের অসহায় কৃষকেরা।

কুমারখালী থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন, মৌখিকভাবে ধান কাটার ব্যাপারটি শুনেছি। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ব্যাপারটি সঠিক কিনা।

ইত্তেফাক/এএম