শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মধুপুর বনাঞ্চলে ১০ হাজার গাছের চারা নিধনকারী গ্রেফতার

আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২০, ১৮:৩৬

গ্রেফতার করা হয়েছে টাঙ্গাইল বন বিভাগ মধুপুর বনাঞ্চলের ১০ হাজার গাছের চারা নিধনের মূলহোতা শামসুল হক ফরিদকে। মধুপুর উপজেলার অরনখোলা ফাঁড়ির পুলিশ বুধবার (২৯ জুলাই) রাতে তাকে দোখলার কালা বাজার থেকে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার জেলহাজতে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন অরনখোলা ফাড়ির ইনচার্জ পুলিশ ইন্সপেক্টর হাসান মোস্তফা। 

শামসুল হক ফরিদ অরনখোরা গ্রামের মৃত সিরাজ আলীর ছেলে।

মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ তারিক কামাল দায়ের করা মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, টাঙ্গাইল বনবিভাগের মধুপুর বনাঞ্চলের দোখলা রেঞ্জের সদর বিটের ৪৯৭ দাগের ১০ একর সংরক্ষিত বনভূমি গত ২০ জুলাই জবরদখলমুক্ত করা হয়। ওই বিরান ভূমিতে উডলট মডেলে বনায়নের জন্য ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট গত ২১ জুলাই ১০ হাজার আকাশমনি প্রজাতির গাছের চারা সেখানে মওজুত করেন। গত ২২ জুলাই শামসুল হক ফরিদের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন দুর্বৃত্ত সেখানে হামলা চালিয় বনায়ন করা যাবেনা বলে হুমকি দেয়। পরে সেখানে মজুত রাখা দশ হাজার বনজ গাছের চারা কেটে সাবাড় করে।

আরও পড়ুন: আবাসিক হোটেলে তরুণিকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার ৫

টাঙ্গাইল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. জহিরুল হক জানান, শামসুল হক ফরিদ গংরা প্রভাব খাটিয়ে সংরক্ষিত বনভূমি জবরদখলের পর কলা চাষ শুরু করে। একজন সহকারী বন সংরক্ষকের নেতৃত্বে কলা বাগান উচ্ছেদের পর সেখানে নতুন করে বনায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। আর তখনি বনায়নে বাধা, হুমকি এবং মারপিটের ঘটনা ঘটিয়ে মূল্যবান দশ হাজার গাছের চারা নিধন করে। এ ঘটনায় দোখলা রেঞ্জ অফিসার আব্দুল আহাদ বনভূমি জবরদখল, বনজ সম্পদ ধ্বংস এবং কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে গত ২৩ জুলাই মধুপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি তদন্ত করেন অরনখোলা ফাডির পুলিশ। অভিযোগের সত্যতা মেলায় গত বুধবার পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসাবে গ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই দৈনিক ইত্তেফাকের অনলাইনে ‘মুজিব বর্ষে দেশজুড়ে বৃক্ষরোপন, আর মধুপুরে ১০ হাজার চারা কেটে সাবাড়’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়।

ইত্তেফাক/এসি