শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ঈদ আনন্দ নেই তিস্তা পাড়ে 

আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২০, ১৩:৩৫

ঈদ আনন্দ নেই তিস্তা পাড়ে। আছে শুধু হাহাকার। চারিদিকে পানি আর পানি। পানির মধ্যে বাস। খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে লোকজন। বাড়ি থেকে বের হওয়ার কোন উপায় নেই। কেউবা ঠাঁই নিয়েছে উঁচু জায়গায়। কেউবা বাঁধে। কেউবা শুধু ঘর এনে রেখেছে রাস্তায়। কারো আবার কোথাও জায়গার যাওয়া নেই। এরকম একটি করুন চিত্র রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের চর ইচলী গ্রামের বানভাসী মানুষের।

সম্প্রতি বাঁধ ভেঙ্গে নতুন করে ৫ গ্রামের ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তিস্তায় বিলীন হয়েছে ঈদগা, মাঠ, মাদ্রাসা ও মসজিদ। বন্যাকবলিত এলাকায় খাদ্যাভাব ও পানীয় জলের তীব্র সংকটসহ চরম দুর্ভোগ-দুর্গতি দেখা দিয়েছে। পানির তোড়ে জেএসকেস বাজার সংলগ্ন শংকরদহ ও ইচলীগ্রামে যাওয়ার বাঁশের সাঁকোটিও ভেসে গেছে।

জানা যায়, সম্প্রতি লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের শংকরদহ এলাকায় একটি বাঁধ ভেঙ্গে যায়। গত শুক্রবার তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলে সেইভাঙ্গা অংশ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে ঔ ইউনিয়নের ৫টি গ্রামের প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। শুক্রবার রাতে শংকরদহ এলাকার একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও একটি মসজিদ ভেঙ্গে গেছে। লোকজন ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষার্থে বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছে। পানিবন্দি লোকজনের মাঝে চরম খাদ্যাভাব ও পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে। লোকজন খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে। গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে লোকজন। নিদ্রাহীন রাত কাটছে পানিবন্দি লোকজনের। এলাকায় চরম হাহাকার পড়ে গেছে।

লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, মানুষের অবস্থা খুবই করুন। বানভাসী মানুষের মাঝে কোন ঈদ আনন্দ নেই। অনেকে খেয়ে না খেয়ে আছে।


ইত্তেফাক/আরকেজি