বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

৬৮ বছরের গ্লানি মুছে দাসিয়ারছড়ায় জ্বললো ৬৮ মোমবাতি

আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২০, ১৬:১০

আজ থেকে চার বছর আগে শৃঙ্খলবদ্ধ জীবনের ৬৮ বছরের গ্লানি থেকে মুক্তি পেয়েছিল কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীরা। ঐতিহাসিক সেই দিনটি উদযাপন করতে এবছরও ৩১ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ৬৮টি মোমবাতি জ্বালিয়ে মুক্তির ৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান পালন করল দেশের বৃহত্তম বিলুপ্ত ছিটবাসী দাসিয়ারছড়ার মানুষ। ভারতীয় সীমান্ত থেকে পাঁচ কিলোমিটার অভ্যন্তরে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা শহরের মাঝখানে অবস্থিত এই বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার।

দাসিয়ারছড়ার কালিরহাট বাজারে সাবেক ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির নিজস্ব কার্যালয়ের সামনে রাত ১২টা ১ মিনিটে ৬৮ টি মোমবাতি ও পাঁচটি বড় মর্শাল প্রজ্জলন করেন ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, দাসিয়ারছড়া ইউনিটের সাবেক সভাপতি আলতাফ হোসেন, সদস্য মনিরুজ্জামান ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসার সুপার আমিনুল ইসলাম। 

অন্য দিকে দাসিয়ারছড়া কালিরহাট বাজার সংলগ্ন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দাসিয়ারছড়া ছাত্রলীগের আয়োজনে রাতে শহীদ মিনারে ৬৮টি মোমবাতি জ্বালানো ও কেট কাটেন উপকর কমিশনার মিজানুর রহমান উল্লাস, ফুলবাড়ী সদর ইউপি সদস্য হারুন-অর-রশিদ, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু-বক্কর সিদ্দিক মিলন, দাসিয়ারছড়া ছাত্রলীগের আহ্বায়ক জাকির হোসেন ও দাসিয়ারছড়াবাসী নুর আলম মাস্টার প্রমুখ। শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। সন্ধ্যা থেকে ঝলমলে আলোতে সেজেছিল দাসিয়ারছড়ার প্রতিটি বাড়ি। 

দিবসটি উপলক্ষে শনিবার সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ঈদের নামাজ শেষে প্রতিটি মসজিদে মসজিদে মিলাদ মাহফিলসহ করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়েছে এবং  বিকালে এক হা-ডু-ডু-খেলার আয়োজন করা হয়েছে।  

উল্লেখ্য,২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্য রাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মুজিব-ইন্দিরা স্থল সীমান্ত চুক্তি’র বাস্তবায়ন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই দিন বাংলাদেশের অভ্যন্তরের ১১১টি ছিটমহল এবং ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল দুই দেশের ভুখ-ে যুক্ত হয়। দীর্ঘ ৬৮ বছরের বঞ্চনার পর ১৬২টি ছিটমহল একীভূত হয়ে নাগরিকত্ব লাভ করেন এবং তারা বাংলাদেশ-ভারতের নাগরিক হবার সুযোগ পান।

ইত্তেফাক/এসি