বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বাউফলে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ২

আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২০, ২৩:০৪

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা রাকিব উদ্দিন রোমান (৩৪) ও ছাত্রলীগ নেতা ইশাত তালুকদার (২৪) নিহত হয়েছেন। রবিবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের কেশবপুর বাজারের এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ১১ জনকে আটক করেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাউদ্দিন পিকু ও সাধারণ সম্পাদক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুর মধ্যে স্থানীয় প্রভাব বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত শুক্রবার (৩১ জুলাই)  দুপুরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে সাধারণ সম্পাদক সমর্থিত যুবলীগ নেতা রফিকুলকে বেধড়ক মারধর করে সভাপতি সমর্থিত ইউপি সদস্য যুবলীগ নেতা সুজন তালুকদার ও তার কর্মীরা। আহত অবস্থায় রফিকুলকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর জেরে ওই দিনই রফিকুলের অনুসারীরা দুপুর দুইটার দিকে সভাপতি সমর্থিত কর্মীদের উপর হামলা করে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা বশির ও ইব্রাহিমকে আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে রবিবার সন্ধ্যায় সভাপতি সমর্থিত যুবলীগ নেতা রফিকুল কেশবপুর বাজারে গেলে যুবলীগ কর্মী রাকিব উদ্দিন রোমান ও ইশাত তালুকদাদের সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয় পক্ষ লাঠিসোটা ও দেশী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাউদ্দিন পিকুর আপন ভাই যুবলীগ নেতা রাকিব উদ্দিন রোমান ও চাচাতো ভাই ইশাত তালুকদারসহ ৬ জন আহত হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আখতারুজ্জান জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই নিশাতের মৃত্যু হয়। অপরদিকে রাত ৯ টার দিকে রাকিবকে নিয়ে আসার বিশ মিনিট পর তার মৃত্যু হয়। তাদের শরীরে ধারালে অস্ত্রের কোপসহ লাঠির আঘাত রয়েছে।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সোমবার পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশের ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালীর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার দুপুর পর্যন্ত ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ইত্তেফাক/এমআর