মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াতে ৪ নম্বর ফেরিঘাট নদীতে ভেঙে যাওয়া এবং ২ নম্বর ঘাট ভাঙনের ঝুঁকিতে থাকায় বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে ফেরিসহ লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ ছিল। সকাল সোয়া ১০টার দিকে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল স্বাভাবিক হয়। এছাড়া অন্যান্য ঘাট দিয়ে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল করছে।
ইলিয়াছ আহম্মেদ চৌধুরী কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্রে জানা যায়, শিমুলিয়া নদী ভাঙনে ঘাট বিলীন হওয়া ও ভাঙন তরান্বিত হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কিছু সময়ের জন্য নৌযান চলাচল বন্ধ ছিলো। ফেরির পাশাপাশি লঞ্চ ও স্পিডবোটও বন্ধ রাখা হয়। এরপর সকাল সোয়া ১০টার দিকে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল শুরু করে। কিছু সময় বন্ধ থাকায় ইলিয়াছ আহম্মেদ চৌধুরী কাঁঠালবাড়ী ঘাটে রাজধানীমুখী যাত্রীদের ঢল নেমেছে। পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে লঞ্চ ও স্পিডবোটও সর্তকতার সঙ্গে চলাচল করছে। তবে ফেরিতে ব্যক্তিগত পরিবহন ও মোটরসাইকেল বেশি পারাপার হচ্ছে। তবে বিকল্প চ্যানেলের ভাটিতে পালেরচর হয়ে ফেরিগুলো ধারণক্ষমতার চেয়ে কম যানবাহন নিয়ে কোনমতে চলছে। এতে ফেরি পারাপারে সময় বেশি লাগছে। এই ঈদেও যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঘাট এলাকায় পুলিশ, র্যাব, ফায়ার সার্ভিস, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পর্যাপ্ত আইন-শৃখলা বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ’র একাধিক টিম ঘাটে অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: কাঁঠালবাড়ী ফেরিঘাটে রাজধানীমুখী যাত্রীদের ঢল
বিআইডব্লিউটিসির মেরিন কর্মকর্তা (শিমুলিয়া) আহমদ আলী বলেন, ‘শিমুলিয়ায় নদী ভাঙনের কবলে পরে এরই মধ্যে চারটি ঘাটের দু’টি ঘাটই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। গত মধ্যরাতে ৪ নম্বর ঘাটটিও ভেঙে গেছে। বর্তমানে নৌরুটে ৫টি ফেরি চলছে।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কাঁঠালবাড়ী লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, ‘শিমুলিয়া নদী ভাঙনে ঘাট বিলীন হওয়া ও ভাঙন তরান্বিত হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কিছু সময়ের জন্য নৌযান চলাচল বন্ধ ছিলো। ফেরির পাশাপাশি লঞ্চ ও স্পিডবোটও বন্ধ রাখা হয়। এরপর সকাল সোয়া ১০টার দিকে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল শুরু করে।’
ঈদ শেষে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে রাজধানীমুখী ফেরা নিশ্চিত করতে ঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে। প্রতিটি নৌযান ও যানবাহনে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে তারা কাজ করছে। কোন অবস্থাতেই লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী উঠতে দেওয়া হচ্ছে না।
ইত্তেফাক/এএএম