বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বাড়ি ফিরেই বিয়ে, কনেকে পড়ানো হয়েছিল আংটিও

আপডেট : ০৬ আগস্ট ২০২০, ২১:৪৮

বাড়ি ফিরেই বিয়ে করার কথা ছিল প্রবাসী রেজাউল আমিন শিকদারের। কিন্তু লেবাননের বৈরুতে ভয়াবহ রাসায়নিক বিস্ফোরণে সেই স্বপ্ন আর আলোর মুখ দেখলো না। একটি বিস্ফোরণে সঙ্গে সঙ্গে তছনছ হয়ে গেলো একটি জীবন, একটি পরিবারের স্বপ্ন। পরিবারটিতে এখন শুধুই শোকের মাতম। লেবাননে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণে নিহত হন রেজাউল। তিনি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর গ্রামের মণির শিকদারে ছেলে।

পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা জানান, রেজাউল ২০১১ সালে লেবাননে যান। তিনি ওই দেশের বৈরুতের বন্দর সংলগ্ন ডাউনটাউন এলাকার আলভোর শহরের একটি পেট্রোল পাম্পে কাজ করতেন। প্রায় চার বছর আগে বৈরুতে নিয়ে যান তার ছোট ভাই মাহবুব শিকদারকেও। মাহাবুব আলাইয়া এলাকায় থেকে পেট্রোল পাম্পে চাকরি করেন। বৈরুতে রেজাউলের এক মামা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার রাজিসার গ্রামের জসিম উদ্দিনও থাকেন। জসিম উদ্দিন বুধবার দিন গত গভীর রাত ১২টার দিকে বৈরুত থেকে পরিবারের নিকট ফোন করে রেজাউলের মৃত্যুর বিষয়টি জানান। 

কৃষক পরিবারের সন্তান রেজাউল দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে বাড়িতে পাকা ঘর তৈরি করেন এবং দুই বোন তিশা আক্তার ও লিমা আক্তারকে বিয়ে দেন। 

রেজাউলের চাচাতো ভাই সেলিম শিকদার জানান, গত ফেব্রুয়ারি মাসে কসবা উপজেলার বাদুর গ্রামে তার বিয়ের কথা চূড়ান্ত হয়। রেজাউলের অনুপস্থিতিতে সামাজিকভাবে মেয়েকে আংটি পড়ানো হয়। আর এক মাস পর রেজাউল দেশে এসে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করার কথা ছিল। কিন্তু ভয়াবহ বিস্ফোরণে সবকিছু তছনছ হয়ে গেলো।

আরও পড়ুন: লেবাননে বিস্ফোরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আরেক তরুণের মৃত্যু

নিহত রেজাউলের বাবা মনির শিকদার ছেলের লাশ দেশে আনার দাবি জানিয়েছেন। 

ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ৎআজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, রেজাউলের মরদেহ দেশে আনার বিষয়ে সরকার ব্যবস্থা নেবে।

ইত্তেফাক/এসি