বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে (শেবাচিম) হাসপাতালে করোনা আক্রান্তে এক ও উপসর্গ নিয়ে চার রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে ২৯ মার্চ থেকে শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ১৮৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ৯৬ জনের করোনা পজেটিভ এবং বাকীরা করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে মারা যান আগৈলঝাড়া উপজেলার খেজুরতলা এলাকার হাজী মো. ইউনুস (৫০)। তিনি করোনা পজেটিভ ছিলেন। ১ আগস্ট রাত ১১টা ৩০ মিনিটে করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালের ভর্তি হন তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন লাভলী আক্তার (৩২)। এর আগে করোনা উপসর্গ নিয়ে ঝালকাঠি সদরের ঐ রোগীকে একই দিন সকাল ৯টা ৬ মিনিটে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করেন তার স্বজনরা।
বিকাল ৪টায় ভর্তির দের ঘণ্টার মাথায় মৃত্যুবরণ করেন মাদারীপুরের কালকিনি এলাকার আ. খালেক (৬৭)। একই দিন সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বরগুনা সদর এলাকার মোশারফ হোসেন (৭০) নামের এক বৃদ্ধ।
রাত ৯টা ২০ মিনিটে করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কুলসুম বেগম (৭৫) নামের আর এক বৃদ্ধা। এর আগে করোনা উপসর্গ নিয়ে বরিশাল সদরের চন্ডিপুর এলাকার ঐ রোগীকে ২ আগস্ট দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করেন তার স্বজনরা।
করোনা পজেটিভ হয়ে মৃত্যুবরণকারী রোগীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন করা হবে এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ কারীদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন।
ইত্তেফাক/জেডএইচ