বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বানের জলে জেলেদের আন্দোৎসব

আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০২০, ১৭:০৮

নওগাঁর আত্রাইয়ে নদী-নালা, খাল-বিল মাছ শিকারীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে। বিভিন্ন ব্রিজ, কালভার্ট, ও স্রোতের মুখে খড়াজালসহ নিয়ে দিনে-রাতে ওত পেতে বসে আছেন মাছ শিকারীরা। আর এ মাছ বেচে ভালোই চলছে তাদের সংসারও। সাম্প্রতিক সময়ে ভরি বর্ষণ ও আত্রাই নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙন এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে প্রতিটি মাঠ প্লাবিত হয়ে গেছে। 

আত্রাই উপজেলার ৮ ইউনিয়নে ১৯টি মৎস্যজীবী সমিতির আওয়াতায় প্রায় ৬ হাজার মৎস্যজীবী রয়েছেন। যারা মাছ শিকার করে সংসার চালান। শুষ্ক মৌসুমে খাল-বিল শুকিয়ে যাওয়ায় এসব জেলে পরিবার প্রাণ ফিরে পান বন্যা এলে। অন্যবারের তুলনায় এবারে নদী নালায় আগাম পানি আসায় এবং সর্বত্র বন্যায় প্লাবিত হওয়ায় অধিকহারে তারা মাছ শিকার করতে পারছেন। বিশেষ করে চোখে পড়ছে খড়াজাল দিয়ে মাছ শিকার। 

খনজোর গ্রামের জেলে যুগল চন্দ্র হাওলদার বলেন, অন্যবার আমরা এতো খড়াজাল পাততে পারতাম না। এবারে বন্যার পানি বেশি হওয়ায় খুব দূরে যেতে হচ্ছে না। বাড়ির কাছেই খড়াজাল পেতেছি। মাছ যা হচ্ছে তা বিক্রি করে ভালোভাবে সংসারের খরচ মিটছে।

আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে বন্যার অবনতি, পানিবন্দি হাজারও মানুষ

পারকাসুন্দা গ্রামের এরশাদ আলী বলেন, আমাদের এলাকাতে এবার অনেক খড়াজাল দিয়ে জেলেরা মাছ শিকার করছেন। বিশেষ করে খনজোর এবং পারকাসুন্দার মাঝখানে আত্রাই-পোরাখালী রাস্তার পাশে বেশ কয়েকটি খড়াজাল পাতা হয়েছে। প্রতিদিন বিকেলে এসব জালে মাছ শিকার দেখতে এলাকার অনেক নারী পুরুষ সেখানে ভিড় জমায়। ওই জায়গা এখন অনেকটা বিনোদন স্পটে পরিণত হয়েছে।

উপজেলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি ভূষণ চন্দ্র হাওলদার বলেন, বর্ষা মৌসুমে মৎস্যজীবীরা মাছ শিকার করে সংসার চালাতে পারলেও শুষ্ক মৌসুমে তাদের সহায়তা করা প্রয়োজন।

আত্রাই উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা পলাশ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, জেলেরা যেন রেণু পোনা শিকার করতে না পারে সে জন্য প্রতিটি এলাকায় আমাদের মনিটরিং অব্যাহত আছে। 

ইত্তেফাক/এসি