শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

শ্যালিকাকে পেতে বোনকে তালাক, পরে শ্যালিকাকে খুন

আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২০, ২১:২৫

বড়ো বোন সাবিনা বেগমকে বিয়ে করেছিলেন শফি। এরপর থেকেই তার কুনজর পড়ে শ্যালিকা রনি খাতুনের দিকে। তাকে পেতে সাবিনাকে তালাক দেন শফি। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। দ্বিতীয় বিয়ে করেন শফি এবং অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায় রনির। কিন্তু মনের ভেতরে ক্ষোভটি দীর্ঘদিন ধরে পুষছিলেন শফি। শেষ পর্যন্ত তা গড়ায় খুনোখুনি পর্যন্ত। শফির হাতে খুন হন রনি খাতুন। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন শফি।

শুক্রবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় রংপুরের পীরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে এ খুনের ঘটনা ঘটে। 

রনি পীরগঞ্জের আজিরাপুর গ্রামের আ. ছাত্তারের মেয়ে। তিনি ঢাকায় পোশক শ্রমিকের কাজ করতেন। অপরদিকে ঘাতক দুলাভাই শফিকুল ইসলাম শফি পীরগঞ্জ ইউনিয়নের ডিপটি মণ্ডলের ছেলে। 

ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি পীরগঞ্জের আজিরাপুর গ্রামে এসেছিলেন রনি খাতুন। তার বিয়ে হয় দশ মাস আগে বগুড়ার ধুনট উপজেলার নড়িয়া গ্রামে। ঈদ পালন শেষে কর্মস্থল ঢাকায় ফেরার জন্য পীরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে আসেন। শফি গোপনে খবর পেয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে বাসস্ট্যান্ডে আসেন। রনি সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে শফি তার হাত ধরে টানাহেঁচড়া করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রনির সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। এরই এক পর্যায়ে শফি তার কাছে থাকা ছুরি দিয়ে রনির তলপেটে উপর্যুপুরি আঘাত করে।

আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাড়িতে হাঁস যাওয়ায় দুইদল গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, ৩ পুলিশসহ আহত ৪০

গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে পীরগঞ্জ থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। শনিবার সুরতহাল শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন তাকে করা হয়। 

নিহতের বড় ভাই মনোয়ার হোসেন বাদি হয়ে পীরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

ইত্তেফাক/এসি