শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ওসির গালাগাল ও এএসআইকে চড় মারার ভিডিও ভাইরাল

আপডেট : ০৯ আগস্ট ২০২০, ১২:০১

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের লাঠিপেটার নির্দেশ তাৎক্ষণিকভাবে পালন না করায় এক এএসআইকে বামনা থানার ওসির প্রকাশ্যে চড়-থাপ্পড় মারার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এছাড়া ওসিকে প্রকাশ্যেই গালাগাল করতে দেখা গেছে।

কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদের মৃত্যুর পর গ্রেফতার ও কারাবন্দী হন শাহেদুল ইসলাম সিফাত। তিনি স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলম এ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের ছাত্র।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সিফাতের মুক্তির দাবিতে শনিবার দুপুর ১২টায় বরগুনার বামনায় মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু করে তার সহপাঠীরা। মানববন্ধনে হঠাৎ পুলিশ এসে ব্যানার ফেস্টুন ছিনিয়ে নেয়। এরপর লাঠিচার্জ শুরু করলে মানববন্ধন পণ্ড হয়ে যায়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। 

মানববন্ধনকারীদের অভিযোগ, তারা শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন করছিলেন। হঠাৎ সেখানে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে হাজির হন বামনা থানার ওসি মো. ইলিয়াস হোসেন। পুলিশ প্রথমেই মানববন্ধনের ব্যানার ও মাইক ছিনিয়ে নেয়। এরপরও সিফাতের বন্ধুরা মানববন্ধন চালিয়ে গেলে ওসি দৌড়ে এসে নিজেই লাঠিপেটা শুরু করেন। একই সঙ্গে তিনি মানববন্ধনে অংশ গ্রহণকারীদের দুষ্কৃতিকারী বলে উল্লেখ করেন। 

পুলিশের লাঠিচার্জে আহত মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করা রুবেল বলেন, মিথ্যে মামলায় নির্দোষ সিফাত জেলে থাকায় ওর মুক্তির জন্য মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেছিলাম। এ সময় বামনা থানার ওসি এসে আমাদের উপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করেন।

 

তিনি আরো বলেন, সিফাতের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করায় পুলিশ আমাদের দুষ্কৃতিকারী বলে আখ্যা দিয়েছেন। গালাগাল করেছে। এছাড়াও নাতির মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনে আসায় সাংবাদিকদের সামনে সিফাতের নানা মো. আইউব আলী হাওলাদারকে গালমন্দ করার পাশাপাশি হুমকি প্রদান করে পুলিশ।

সিফাতের নানা মো. আইউব আলী হওলাদার বলেন, পুলিশ আজ যা করেছে তা মোটেও ঠিক হয়নি।

বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, আমাদের অনুমতি না নিয়ে একদল দুষ্কৃতিকারী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করছে বলে আমি জানতে পেরেছি। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে বলে মানববন্ধন বন্ধ করে দিয়েছি।

৩১ জুলাই রাতে সিনহা ও সিফাত টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে যাচ্ছিলেন। বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা। 

আরো পড়ুন: ‘ক্রসফায়ার’ আতঙ্ক ছিল টেকনাফের ঘরে ঘরে

ইত্তেফাক/জেডএইচ