শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বিনোদন কেন্দ্র-হাটবাজারে ভিড়, বাড়ছে ঝুঁকি

আপডেট : ১১ আগস্ট ২০২০, ১৬:৩৯

সরকারি নির্দেশ অমান্য করে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বিভিন্ন বিনোদন স্পট এবং হাট বাজারসহ মার্কেটগুলোতে দর্শনার্থী ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচেপরা ভিড় বাড়ছে। 

এতে করে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মারাত্মক ঝুঁকি বেড়েই চলেছে। 

গত ৫ মাসে মির্জাপুর উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯ জন। আক্রান্ত হয়েছেন চার শতাধিক। এখন পর্যন্ত দেড় শতাধিক আইসোলেশনে রয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাকসুদা খানম বলেছেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে জনগণকে রক্ষার জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে দিন রাত কাজ করা হচ্ছে। জনগণকে সচেতন করতে নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ।

মঙ্গলবার পৌরসভা ও উপজেলার কয়েকটি বিনোদন স্পটে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বিনোদন প্রেমীরা অবাধে চলাফেরা করছে। হাটবাজার ও মার্কেটগুলোতেও একই অবস্থা। দুই চারজনের মুখে মাস্ক থাকলেও অধিকাংশের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। 

পৌরসভার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পুষ্টকামুরী চরপাড়া বাইপাস এলাকায় শতশত বিনোদন প্রেমী মহাসড়কের পানির মধ্যে মাতামাতি করতে দেখা গেছে। এখানে প্রতি দিন ও রাতে শতশত দর্শনার্থী আসেন। এদের কারও মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। 

হাটবাজারে  মানুষের ভিড়। অধিকাংশের মুখে মাস্ক নেই। ছবি: ইত্তেফাক

একই অবস্থা মির্জাপুর-ওয়ার্শি-বালিয়া রোডের পুষ্টকামুরী, ঘুগি, ওয়ার্শি, বহুরিয়া বিল, জামুর্কি নন্দীনি পার্ক, মির্জাপুর ট্রেন স্টেশন, ধেরুয়া জলকুটির, আজগানা-কালিয়াকৈর রোডের তেলিনা জলকুটিরসহ বিভিন্ন বিনোদন স্পটে। ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়েই চলেছে।

উপজেলা সদরের কালিবাড়ি রোডের ওষুধ ব্যবসায়ী মি. সমির বণিক এবং কলেজ রোডের কাপড় ব্যবসায়ী মো. সালাউদ্দিন আহমেদ ডন বলেন, মির্জাপুর শহরের অলিগলি, বিভিন্ন মার্কেট, দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কাঁচা বাজার, সদরের বাইরে মহেড়া, জামুর্কি, ফতেপুর, বানাইল, আনাইতারা, ওয়ার্শি, ভাদগ্রাম, ভাওড়া, বহুরিয়া, গোড়াই, লতিফপুর, আজগানা, তরফপুর ও বাঁশতৈল ইউনিয়নের হাট বাজারসহ বিভিন্ন বিনোদন স্পটে লোকজন অবাধে চলাচল করছে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে। 

করোনা ভাইরাস থেকে জনগণকে বাঁচাতে হলে প্রশাসনকে কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন এবং মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেল জরিমানার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তারা জোর দাবী জানিয়েছেন।

মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সায়েদুর রহমান বলেন, পুলিশ প্রশাসন সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য বিভিন্ন এলাকায় কাজ করে যাচ্ছে। শুধ আইন নয়, এই দুর্যোগ থেকে বাঁচতে হলে সবাইকে সচেতন হওয়ার জন্য তিনি পরামর্শ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল মালেক মোস্তাকিম এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর্জা মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

ইত্তেফাক/জেডএইচ