শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সিনহা হত্যা: পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষীকে গ্রেফতার

আপডেট : ১১ আগস্ট ২০২০, ১৭:৩৪

সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা হত্যার পর পুলিশের দায়ের করা হত্যা মামলার তিন সাক্ষীকে গ্রেফতার করেছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব। মঙ্গলবার  (১১ আগস্ট) সকালে তাদের আটকের পর সিনিয়র বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। র‌্যাব সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

গ্রেফতার হওয়া সাক্ষীরা হলেন-টেকনাফের বাহারছরার মারিশবুনিয়ার নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দীন ও মোহাম্মদ আইয়াস। দুপুরে কক্সবাজার আদালতে গ্রেফতার তিন সাক্ষীকে হাজির করে র‌্যাব। তাদের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। তবে কতদিন রিমান্ড চাওয়া হয়েছে তা জানায়নি র‌্যাব সূত্রটি।  

গ্রেফতারকৃত সাক্ষীরা গ্রেফতার হওয়ার আগে গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছিলেন, এই হত্যার বিষয়ে তারা কেউ নিজের চোখে কিছু দেখেননি। ঘটনার পর স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে তাদের ডেকে নেওয়া হয়। পরে সকালে টেকনাফ থানায় নিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন তারা। পরে জানতে পারেন তাদেরকে সাক্ষী করা হয়েছে।

গত ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাতে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ রোডে টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ তড়িঘড়ি করে দুটি মামলা করেন। মামলায় নিহত সিনহার সফরসঙ্গী সিফাতকে আসামি করা হয়। সেই মামলায় বেশ কয়েকজনকে সাক্ষী করা হয়। ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরিদর্শক লিয়াকত আলী, ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

আরও পড়ুন: রাজৈরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ছাত্রলীগের ত্রাণ বিতরণ

৬ আগস্ট বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপসহ সাত আসামি কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। মামলার শুনানিতে র‌্যাবের পক্ষে প্রত্যেক আসামির ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত লিয়াকত, প্রদীপ ও নন্দ দুলাল রক্ষিতকে সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাকি চারজনকে দুই দিন কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। অন্য দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। চারজনকে জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আবারও ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে তদন্ত সংস্থা।  

গত ৩১ জুলাই রাতে সিনহা নিহতের ঘটনার পর পুলিশের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কক্সবাজার কারাগারে ছিলেন বেসরকারি স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথ।

নিহত সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের সঙ্গে কক্সবাজারে প্রামাণ্যচিত্র তৈরির কাজ করছিলেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির তিন শিক্ষার্থী শিপ্রা দেবনাথ, সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও তাহসিন রিফাত নূর। পুলিশ সাহেদুল ইসলাম সিফাতের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মাদক দ্রব্য ও হত্যা মামলা এবং কক্সবাজারের রামু থানায় শিপ্রার বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে মামলা করে। এ ছাড়া তাহসিন রিফাত নূরকে অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। 

ইত্তেফাক/এএএম