শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

তিস্তা নদীর ভাঙনের মুখে রংপুর-লালমনিরহাট সড়ক

আপডেট : ১২ আগস্ট ২০২০, ১৯:৫৯

রংপুর অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে রংপুরের গংগাচড়ার লক্ষীটারী ইউনিয়নের পূর্ব ইচলীর একটি সড়ক সেতুর পিচিং এর ব্লোক ধসে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এ ভাঙনের দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা না গ্রহণ করলে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে পূর্ব ইচলী প্রাথমিক বিদ্যালয়,মসজিদ,মাদ্রাসাসহ বাড়িঘর এবং বন্ধ হয়ে যেতে পারে রংপুর-লালমনিরহাট যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ভাঙনের হুমকির আশঙ্কায় শেখ হাসিনা তিস্তা সড়ক সেতু।

দেখা গেছে, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ও তীব্র গতিতে পানি প্রবাহিত হওয়ার ফলে পূর্ব ইচলির সড়ক সেতুটির পাশে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। পানির চাপে পিচিং থেকে বক্রগুলে ধসে সড়ক সেতুর সংযোগ সড়কটি ভাঙনের মুখে। রাস্তা ও সেতুটি রক্ষায় এলজিইডি ১ হাজার বস্তা জিও ব্যাগ ফেলার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পাশাপাশি এলাকাবাসীদের উদ্যোগে জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা চলছে।

স্থানীয়রা বলেন, এখন পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের বা প্রশাসনের লোক না আসায় আমরা নিজ উদ্যোগে ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলছি। যদি ভাঙন রোধ না করা যায় তাহলে আমাদের বসত বাড়ি-ঘর,ফসলি জমিসহ সবকিছু নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। পানি উন্নয়নের বোর্ডের অনিয়ম ও গাফিলতিতে নদী ভাঙন ও বন্যায় এত ক্ষয়-ক্ষতি বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। 

আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে মন্তব্য:আইনজীবীকে আপিল বিভাগে তলব

স্থানীয়রা আরও বলেন,পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতিতে আজ এত বড় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বাঁধ নির্মাণ ও পর্যাপ্ত জিওব্যাগ না ফেলার জন্য প্লাবিত হয়েছে পুরো এলাকা।

এদিকে তিস্তা বাম তীর রক্ষায় টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার মানববন্ধন করেছে লক্ষীটারি ইউনিয়নবাসী। এসময় এ অঞ্চল রক্ষায় চর বিনবিনা থেকে শেখ হাসিনা তিস্তা সেতু পর্যন্ত সাড়ে সাত কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান তারা।

লক্ষীটারি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদি সাংবাদিকদের জানান,আমাদের চেয়ারম্যানের এখন কথা কেউ শোনে না। আমরা চাউল চোর গম চোর তাই।আজ যে ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে এই সড়ক ভেঙে রংপুর-লালমনিরহাট যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে এবং উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হবে।

গঙ্গাচড়া এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী ইব্রাহিম হোসেন জানান, ভারী বর্ষণ আর অতিরিক্ত পানির চাপের ফলে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।এই রাস্তাটির ভাঙন মোকাবিলায় আমরা ১ হাজার ব্যাগ জিওব্যাগ তিস্তা নদীতে ফেলছি।

ইত্তেফাক/এএএম