বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পাবনায় হাজারও মানুষের পদচারণায় মুখর শিলাইদহ ঘাট

আপডেট : ১৪ আগস্ট ২০২০, ১৬:২১

পদ্মা নদীর তীরে পাবনা শহর সংলগ্ন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত শিলাইদহ ঘাট। দুপুর গড়ালেই  হাজার হাজার বিনোদন প্রেমী মানুষের পদচারণে মুখর হয়ে উঠে স্থানটি। শিলাইদহ ঘাট দীর্ঘদিন ধরেই ভ্রমণপিপাসুদের জন্য আকর্ষণীয় একটি জায়গা। প্রতিদিন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সমাগম ঘটছে এখানে। আর ছুটির দিনগুলোতে থাকছে উপচে পড়া ভিড়। নদী দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে ইঞ্জিনচালিত নৌকা। মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো ঘাট এলাকা।

শুক্রবার দেখা গেলো, ঘাট এলাকায় তিল ধারণের জায়গা নেই। এই স্থানসংলগ্ন সড়কে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজটের। অনেকেই ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখানে বেড়াতে এসেছেন। সড়কের পাশ দিয়ে বসেছে বাচ্চাদের খেলনার দোকানসহ খাবারের দোকানও। 

ঘাটজুড়ে অর্ধশতাধিক ইঞ্জিনচালিত নৌকা দেখতে পাওয়া যায়। বেড়াতে আসা লোকজন সেগুলোতে করে পদ্মার আশপাশে ঘুরছেন। কোনো কোনো নৌকায় গাদাগাদি করেও লোক তুলতে দেখা গেছে। 

একটি নৌকার মাঝি সুরুজ আলি বলেন, এতো লোক বেড়াতে আসবে ভাবেন নি। আয় রোজগার  ভালো হচ্ছে। 

নদীর ধার দিয়েই বসেছে নাগরদোলা, শিশু ও বড়রা উঠছে চড়কিতে। নৌকার ওপরে চলছে বাউলিয়ানা গান। কেউ বা টেনিস বল লক্ষ্যে ছুঁড়ে জিতে নিচ্ছেন পুরষ্কার। চলছে ইয়ারগান দিয়ে বেলুন ফুটানো। ফুসকা, বাদাম, ঝালমুড়ি, হালিম, চটপটি এগুলোর নেই কোনো কমতি। 

নদীকে পেছনে ফেলে রক্তিম সূর্যকে ডুবে যাওয়ার সাক্ষী করে চলছে সেলফি তোলা। শিলাইদহ ঘাট থেকে নদী পাড় দিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়েই বিচরণ করতে দেখা গেলো বিনোদন পিপাসুদের। 

আরও পড়ুন: মির্জাপুরে ব্রিজ ধসে দুর্ভোগে চার উপজেলাবাসী

শিলাইদহ ঘাটে আসা একাধিক নারী-পুরুষ বললেন, পাবনায় উল্লেখ্যযোগ্য বিনোদন স্পট নেই। মন্দের ভালো ভেবেই এখানে ছুটে আসা। তবে এই স্পট যদি সরকারিভাবে রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়, তাহলে সরকারের একটি উল্লেখযোগ্য বিনোদন কেন্দ্র করা সম্ভব। 

স্পটের কয়েকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, প্রতি শুক্র-শনিবার এখানে মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়।  বিভিন্ন খাদ্য পণ্য ও শিশুদের খেলনা নিয়ে প্রায় শতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এই স্থান থেকে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তাদেরর দাবি, সরকারিভাবে যদি এই স্থানটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যায় তাহলে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। আর পাবনার মানুষ সুন্দর বিনোদনের ব্যবস্থা পাবেন। 

পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ ইত্তেফাককে বলেন, তিনিও গেছেন শিলাইদহ ঘাটে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখানে বিনোদন কেন্দ্র করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিষয়টি অবহিত করা হবে।

ইত্তেফাক/এসি