বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

দেওয়ানগঞ্জে অছাত্র ও বিবাহিতদের নিয়ে ছাত্রদলের কমিটি

আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:৩২

অযোগ্য, অছাত্র ও বিবাহিতদের নিয়ে জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা, পৌর ও কলেজ শাখার, আহবায়ক কমিটি গঠনের প্রতিবাদে ছাত্রদলের নির্যাতিত ও ত্যাগী নেতা-কর্মীরা সংবাদ সম্মেলন করেছে।  

সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে জামালপুর প্রেসক্লাবে  উপস্থিত হয়ে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদল, পৌর ছাত্রদল ও একেএম মেমোরিয়াল কলেজ ছাত্রদলের কমিটি প্রত্যাখ্যান করে নেতাকর্মীরা সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক এমপি এম. রশিদুজ্জামান মিল্লাত তার আত্মীয় ঢাকার ভূমি ও রেস্তোরা ব্যবসায়ী সাঈদ বিন আনোয়ার সজিবকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক করেছেন।

এছাড়া  তিনি একই কায়দায় এলাকার নির্যাতিত নেতা এবং প্রকৃত ছাত্রদের বাদ দিয়ে নিজের মনোনীত অছাত্রদের পৌর ও কলেজ শাখার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান মানিক মিয়া এবং একেএম কলেজ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান তপু।

নেতাকর্মীদের অভিযোগ, সম্প্রতি দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিটের ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এসব কমিটি উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম রশিদুজ্জান মিল্লাতের ইঙ্গিতে এবং তার নির্দেশে দলের ত্যাগী, যোগ্য নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে অরাজনৈতিক, বিবাহিত ও অছাত্রদের নিয়ে কমিটি গঠন করে সংগঠনকে পারিবারিক সংগঠনে পরিনত করতে চাচ্ছেন। এ কমিটি গঠনে অর্থ লেনদেনের অভিযোগও করেন বঞ্চিত নেতাকর্মীরা।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এ কে এম আনিসুল হক ফারুক, পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মনজুরুল হক মঞ্জু ও উপজেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ হাবিব। ছাত্রদল নেতা  রাশেদ মিয়া,শান্ত,কবির রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন। তাদের অভিযোগ সাবেক এমপি এম রশিদুজ্জামন মিল্লাত তার এসব কর্মকাণ্ডে দলের সকল নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অবিলম্বে এসব কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে পুনরায় নতুন কমিটি গঠনের আবেদন জানান। তা না হলে  নতুন কমিটিকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন ভুক্তভোগী নেতাকর্মীরা। 

ইত্তেফাক/এসআই