শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ফুলবাড়ী পৌরসভায় বেতন নেই ৬ মাস

আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:৩০

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌরসভার ৪৩ জন স্থায়ী ও ৪৫ জন চুক্তিভিক্তিক কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ১৩ জন জনপ্রতিনিধি কাজ করছেন নিত্যদিন। কিন্তু বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না ৬ মাস ধরে। ফলে তাদের মানবেতর দিন কাটছে পরিবার পরিজন নিয়ে।

ফুলবাড়ী পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ৪৩ জন স্থায়ী ও ৪৫ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। এদের সাথে নির্বাচিত হয়ে কাজ করছেন পৌর মেয়রসহ ১২ জন পৌর কাউন্সিলর। কিন্তু পৌরসভার আয়ের পথ তেমন না থাকায়, শুধুমাত্র পৌরবাসীর পৌর কর, পৌর এলাকায় চলাচলকারী রিকশা-ভ্যানের লাইসেন্স কর, ট্রেড লাইসেন্স ফি এবং হাটবাজার থেকে প্রাপ্ত আয় দিয়েই মেটাতে হয় কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা। আয়ের ক্ষেত্র কম হওয়ার কারণেই কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ মেয়র ও কাউন্সিলরদের বেতন-ভাতা বকেয়া পড়ছে বলে কর্মকর্ত ও কর্মচারীদের দাবি।

পৌরসভার কর আদায়কারী পরিমল চন্দ্র রায় বলেন, দীর্ঘ ৬ মাস ধরে বেতন-ভাতা না পাওয়ার কারণে পরিবার পরিজন নিয়ে দিন পার করা কঠিন হয়ে পড়েছে। দোকানদাররা বাকীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দিতে দিতে হয়রান হয়ে পড়েছেন। ফলে দোকানদাররা বাকিতে পণ্য দিতেও চান না। আর বাকিতে পণ্য কিনে কবে বেতন পাবো আর কবে পরিশোধ করবো এমন নির্ধারিত দিন ও তারিখ দিতে পারি না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নারী কর্মচারী বলেন, দীর্ঘ মাস ধরে বেতন-ভাতা না পেলেও নিয়মিতভাবে দাপ্তরিক কাজ করতে হচ্ছে। বেতন-ভাতার অভাবে সংসার চালাতে গিয়ে ঋণদেনায় জর্জরিত হয়ে পড়েছেন। ইতোপূর্বে পাঁচ মাস বেতন-ভাতা বকেয়া থাকার পর শুধুমাত্র গত এপ্রিল মাসের (এক মাসের) বেতন-ভাতা পেয়েছেন। চলতি সেপ্টেম্বরসহ বকেয়া পড়ে রয়েছে ৬ মাস। তবে কবে বেতন-ভাতা দেওয়া সম্ভব হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। 

পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. লুৎফুল হুদা চৌধুরী লেমন বলেন, পৌরসভায় আয়ের ক্ষেত্র কম হওয়ায় বেতন-ভাতা বকেয়া পড়ছে। অর্থ সংকুলান হলেই সাধ্যমতো বেতন-ভাতাসহ সম্মানী দেওয়া হচ্ছে। 

পৌর মেয়র মো. মুরতুজা সরকার মানিক বলেন, পৌরসভার তেমন আয়ের ক্ষেত্র নেই। নেই কোন মার্কেট, নেই বাস-ট্রাক টার্মিনালসহ ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এ কারণে নিয়মিতভাবে বেতন-ভাতাসহ সম্মানী দেওয়া যাচ্ছে না। পূর্বে  প্রায় ৭ লাখ টাকায় বেতনভাতা মেটানো যেতে, কিন্তু এখন দিতে হচ্ছে ১৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি। আয়ের খাত বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো অনুমোদন পাওয়া গেলে বেতন-ভাতাসহ সম্মানীর সমস্যা মেটানো সম্ভব হবে।

ইত্তেফাক/এএম