টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে ধরলা নদীর পানি অস্বাভাবিক বেড়ে আবারো বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো। আবারো অস্বাভাবিকহারে পানি বাড়তে থাকায় ধরলা অববাহিকার নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়ে আমন ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ঘরবাড়িতে পানি উঠতে শুরু করেছে।
এদিকে পানি বাড়ার কারণে ধরলা অববাহিকার কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট, ফুলবাড়ী ও উলিপুর উপজেলার প্রায় অর্ধশত চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার শত শত একর আমন ধান ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। কোন কোন আমন ক্ষেতে ৪-৫ ফুট পানিতে তলিয়েছে। প্লাবিত এসব এলাকার বাড়ীর চারপাশের গ্রামীণ কাঁচা সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে ভোগান্তি বেড়েছে চরের মানুষের। প্লাবিত এলাকাগুলোতে এখন নৌকা বা কলাগাছের ভেলাই যোগাযোগের একমাত্র ভরসা।
আরো পড়ুনঃ উদ্বোধনের আগেই ৩২ লাখ টাকার সেতু পরিত্যক্ত ঘোষণা
অন্যদিকে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার সারডোব বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৩০ মিটার অংশ ভেঙে কুড়িগ্রাম সদর ও ফুলবাড়ী উপজেলার অন্তত ১০টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া তীব্র ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে মোঘলবাসা ইউনিয়ন এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। তিস্তার ভাঙন চলছে বজরা থেতরাইসহ কয়েকটি এলাকায়।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম জানান, উজানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় আগামী ২-৩ দিন পানি আরো বাড়তে পারে। এরপর পানি কমবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী এ মাসের শেষে একটি বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তা আগের মতো ভয়াবহ হবে না। পানি বাড়ার সাথে সাথে নদ-নদীগুলোর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। নদী ভাঙন রোধে বিভিন্ন এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
ইত্তেফাক/এমএএম