শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মুক্ত বিশুদ্ধ সাপ্লাই পানির সুফল পাচ্ছে শার্শার মানুষ

আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:২৬

আর্সেনিক মুক্ত বিশুদ্ধ সাপ্লাই পানির সুফল পেতে শুরু করেছে যশোরের শার্শা উপজেলা সদর ইউনিয়নের মানুষ। মফস্বলের পল্লীর ছোঁয়ায় গড়ে উঠা নাভারন বাজারের দুই হাজার পরিবারের বাড়িতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পৌঁছে যাচ্ছে এই পানি।

১০১৯ সালের মার্চ মাস থেকে এর যাত্রা শুরু। শার্শা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি তৈরি করা হয়।এক লাখ লিটার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন  ট্রাংকটিতে গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানি তোলা হয়।এই পানি আর্সেনিক ও আয়রন মুক্ত।

শার্শা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহারব হোসেন বলেন, এটা আর্সেনিক দূষিত এলাকা হওয়ায় সাধারণ মানুষ যাতে বিশুদ্ধ পানি পেতে পারে সেজন্যই সরকারিভাবে এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। বিভাগীয় শহর কিম্বা মহানগরীর মানুষের কাছে সাপ্লাই এর  পানি সম্পর্কে একটা ধারনা থাকলেও মফস্বল এলাকায় এই ধারনা না থাকায় প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে কিছুটা অসুবিধা হলেও এখন মানুষ সচেতন হয়েছে। সুফল পেতে শুরু করেছে। চাহিদাও বেড়েছে।

শার্শা ইউনিয়ন পরিষদের ব্যবস্থাপনায় শ্রেণিভেদে প্রতিটি পরিবারকে মাসিক ১৫০ ও ১৯০ টাকার বিনিময়ে পানি সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এই টাকা দিয়েই তদারককারীদের বেতনভাতাসহ সকল খরচ বহন করা হয়।

শার্শা সদর ইউনিয়নের মোট জনসংখ্য ৩৮হাজার। সাপ্লাই  পানি বাদেও অন্যান্য এলাকায় বিশুদ্ধ আর্সেনিক ও আয়রন মুক্ত পানির ব্যবস্থা করতে ২০০টি আর্সেনিক মুক্ত গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে।এর বাইরে ইউনিয়নের ৫৫টি মসজিদ ও  প্রতিটি  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও বিশুদ্ধ পানির জন্য আর্সেনিক মুক্ত গভীর নলকূপের ব্যবস্থা রয়েছে।

ধনী-দরিদ্র ভেদেও মানসম্পন্ন পানি পাওয়ার সুযোগে তফাৎ রয়েছে।ধনীরা নিজেদের বাড়িতেই খাওয়ার পানির ব্যবস্থা করে। অপরদিকে সরকারি বা অন্য কোনও উৎস থেকে পানি আনতে দরিদ্র মানুষরা আলাদা করে সময় আর শ্রম দিতে বাধ্য হয়। তাই  দরিদ্রদের কথা মাথায় রেখে আর্সেনিক ও আয়রন মুক্ত পানির ব্যবস্থা করতে ২০০টি আর্সেনিক মুক্ত গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে উন্মুক্ত স্থানে।

যাদবপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর তরফদার বলেন,এই এলাকার মানুষের সুপেয় নিরাপদ পানির খুব অভাব ছিল।এখন আমরা খুব ভাল আছি।আর্সেনিক ও আয়রন মুক্ত পানি পাচ্ছি। স্বাদ পাচ্ছি মফস্বলে থেকেও শহরের।

ইত্তেফাক/বিএএফ