যৌতুক না পেয়ে শ্বশুর বাড়িতে এসে নিজের স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়িসহ চার জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার অভিযোগে যৌতুক লোভী জামাইকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার এক নম্বর মহেড়া ইউনিয়নের স্বপ্ল মহেড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার মহেড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বাদশা মিয়া জানান, স্বল্প মহেড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে শিলা আক্তার (২১) সঙ্গে পার্শ্ববর্তী গোড়ান গ্রামের আতোয়ার রহমানের ছেলে স্বপন হোসেনের (২৬) বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বখাটে স্বপন যৌতুকের জন্য স্ত্রী শিলাকে নানা ভাবে নির্যাতন করে আসছে। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শিলা বাপের বাড়ি চলে আসে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বপন শ্বশুর বাড়ি এসে যৌতুকের জন্য ধারালো অস্ত্রের মুখে বাড়ির সবাইকে একটি ঘরের ভিতর জিম্মি করে এলোপাথাড়ি ভাবে কুপাতে থাকে। ধারালো এতে শ্বশুর সিরাজুল ইসলাম (৬০),শাশুড়ি জবেদা বেগম (৫৫), স্ত্রী শিলা আক্তার (২৬) এবং শিলার বড় বোন রাফিয়া আক্তার (২৫) গুরুতর আহত হন। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে স্বপনকে আটক করে মির্জাপুর থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে স্বপনকে উদ্ধার করে থানায় আনে। শিলার অসহার পরিবার এবং এলাকাবাসী যৌতুক লোভী স্বামী স্বপন হোসেনের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ডিউটি অফিসার বলেন, যৌতুক লোভী স্বামী স্বপনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে। আহতদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
ইত্তেফাক/এমআরএম