হোমনার আলোচিত স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি রিক্সা চালক আবদুল মতিনকে (৬০) গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। ধর্ষণের সাড়ে চার মাস পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে টঙ্গী দত্তপাড়া রোডের এক বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে উপজেলার শ্রীমদ্দি গ্রামের লালু মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, গত ৪ মে হোমনা উপজেলা সদরের একটি বালিকা বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ঐ ছাত্রী ও তার তিন বছর বয়সী ছোট ভাইকে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে রেখে তাদের দরিদ্র মা-বাবা বাড়ির পাশের ক্ষেতে কাজ করতে যায়। এদিন সকাল ৯টার দিকে প্রতিবেশী নানা সম্পর্কীয় রিকশা চালক আবদুল মতিন ঘরের দরজা খোলা দেখে ঘরে প্রবেশ করে, ঘুমন্ত মেয়েটিকে ওড়না দিয়ে হাত, পা ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। এ সময় তাদের গোঙানির শব্দ শুনে পাশের বাড়ির তার চাচাত বোন এগিয়ে এলে ধর্ষক মতিন পালিয়ে যায়। এরপর স্থানীয় মাতব্বরদের দ্বারস্থ হয়ে কোনো বিচার না পেয়ে থানায় এলে পুলিশ মামলা নেয়। পরে ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুমেক হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। ঘটনার পরপরই ধর্ষক গাঁ ঢাকা দেয়।
হোমনা থানার ওসি আবুল কায়েস আকন্দ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষক মতিন ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। আসামিকে আজ শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ধর্ষক মতিন সম্পর্কে এলাকাবাসী জানায়, সে তিনটি বিয়ে করেছে। প্রথম স্ত্রী তাকে রেখে পাকিস্তান চলে গেছে। এরপর ২য় বিয়ে করে পরে ২য় স্ত্রীকে রেখে সে ৩য় বিয়ে করার পর বিষয়টি জানাজানি হলে ২য় ও ৩য় স্ত্রীও তাকে ফেলে চলে যায়। কোনে স্ত্রীর সাথেই তার বনিবনা না হওয়ায় বাড়িতে একা থাকার কারণে সে এ বিকৃত রুচির কাজ করে। স্থানীয় লোকজন তার উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান।
ইত্তেফাক/এমআর