কুষ্টিয়ায় চাঁদাবাজি, জবরদখলসহ সন্ত্রাসী নানা অপকর্মে জড়িত থাকায় পুলিশের অভিযানে সহযোগীসহ গ্রেফতার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুর রহিম পল্লবের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও অস্ত্র আইনে থানায় দুইটি মামলা হয়েছে। রবিবার দুপুরে গ্রেফতার ব্যক্তিদের আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শহরের থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আমিনুর রহিম পল্লব দলীয় নেতাদের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়ে আসছিল। পল্লবের বর্তমানে কোনো পদ-পদবী না থাকলেও দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ছিঁচকে থেকে নেতা বনে যান। এছাড়া নিজ বাহিনী গঠন করে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে টেন্ডারবাজি, পৌরবাজারের নিয়ন্ত্রণসহ ব্যবসায়ী ও স্থানীয় লোকজনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছিল। তার এসব অপকর্মে এলাকাবাসী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ ছিল।
শনিবার দুপুরে শহরের নবাব-সিরাজউদ্দৌলা সড়ক সংলগ্ন নিজ অফিস থেকে পল্লবকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার স্বীকারোক্তি মতে দুটি বড় তলোয়ার ও চারটি ছোরা উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পল্লবের অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী তাহেরকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে পুলিশি অভিযানের পর ভুক্তভাগী ব্যবসায়ী মহব্বত আলী বাদি হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় পল্লবের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা করেন। এছাড়া কুষ্টিয়া ডিবি পুলিশের পক্ষে এসআই কামরুজ্জামান লিটন বাদি হয়ে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা করেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, পল্লবের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
ইত্তেফাক/এসি