ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত পথে অবৈধভাবে মানুষ পারাপার বেড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই বিজিবি’র হাতে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের সময় নারী, পুরুষ ও শিশু আটক হচ্ছে। মানুষ পাচারের বড়ো একটি চক্র গড়ে উঠেছে মহেশপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকায়।
বিজিবি সূত্র জানায়, ১১ সেপ্টেম্বর মহেশপুর উপজেলার লড়াইঘাট সীমান্ত পথে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় ১১ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে আটক করে বিজিবি। তাদের বাড়ি বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায়। ১৩ সেপ্টেম্বর মহেশপুর উপজেলার কাঞ্চনপুর হতে এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়। একই দিনে সীমান্ত পার হওয়ার সময় নারী, পুরুষ, শিশুসহ আরও ১০ জনকে আটক করে বিজিবি। সেই সঙ্গে আটক করা হয় তিনজন দালালকে। তাদের বাড়ি গোপালগঞ্জ ও নড়াইল জেলার বিভিন্ন গ্রামে। ওই দিন জীবননগর উপজেলার পাথিলা সীমান্ত এলাকা থেকে দুই নারীকে আটক করা হয়। তাদের বাড়ি নরসিংদি ও ঝিনাইদহে।
১৬ সেপ্টেম্বর মহেশপুর উপজেলার হুদাপাড়া গ্রাম থেকে দুই নারীকে আটক করা হয়। তাদের বাড়ি নড়াইল জেলায়। একই দিনে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করার সময় কালী দাসী মন্ডল নামে এক ভারতীয় নারীকে আটক করে বিজিবি। তার বাড়ি কলকাতার নিউ টাউন থানাধীন গৌরজনগরে। ১৭ সেপ্টেম্বর মহেশপুর উপজেলার খোশালপুর সীমান্ত এলাকা খেকে ১৮ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে আটক করে বিজিবি। তাদের বাড়ি বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকায়। ১৮ সেপ্টেম্বর মহেশপুর উপজেলার মাইলবাড়ি সীমান্ত এলাকা থেকে পাঁচজন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। তাদের বাড়ি খুলনার তেরখাদা উপজেলায়। ১৯ সেপ্টেম্বর জীবননগরে একটি বাস তল্লাশি করে বাবুল পাল নামে এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করে বিজিবি। তার বাড়ি ভারতের হুগলী জেলার ভদ্রেশ্বর থানাধীন কেসিখান গ্রামে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মহেশপুর সীমান্ত এলাকায় গড়ে উঠা মানুষ পাচারকারী সিন্ডিকেটগুলো দালালদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোক যোগাড় করে মোটা টাকার বিনিময়ে ওপারে পার করে দিচ্ছে। বিজিবি’র নজর এড়িয়ে অনেকে ওপারে পার হয়ে যাচ্ছে। আবার অনেকে ধরা পড়ছে।
বিজিবি’র খালিশপুর-৫৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল কামরুল আহসান বলেন, দালালরা সীমান্ত পার করে দেওয়ার জন্য মাথাপিছু ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিচ্ছে। গরু চোরাচালান বন্ধ হওয়ার পর একটি চক্র মানুষ পারাপারে নেমেছে।
ইত্তেফাক/এসি