মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বগুড়ার শেরপুরে খাল খনন কর্মসূচি বন্ধ, মুখোমুখি দুই পক্ষ

আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২০:৩৮

বগুড়ার শেরপুরে শিমলা-সাতবাড়িয়া সরকারি খাল খনন নিয়ে দুটি পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। একপক্ষের দাবি, ব্যক্তিগত জমি দখল করে খালটি খনন করা হচ্ছে। অন্যদিকে অপর পক্ষও খাল খননের লিখিত দাবি জানিয়েছেন ইউএনও’র কাছে। এমন পরিস্থিতিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে খাল খনন কর্মসূচি।

উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের শিমলা-সাতবাড়িয়া নামক খাল খননে এ উদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি হয়। এক পক্ষে আছেন, জমির মালিক দাবিদার কৃষক আজিজুল হক। অন্যদিকে আছেন একই গ্রামের মশিউর রহমানসহ অনেকেই।

উপজেলা কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) দপ্তর সূত্র জানায়, উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের শিমলা-সাতবাড়িয়া নামে পরিচিত খাল খনন কর্মসূচি বিগত ১৫ মে থেকে শুরু করা হয়েছে। দুই কিলোমিটার দূরত্ব এই খালটি খননের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে বিশ লাখ টাকা। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে খনন কাজ শেষ হওয়ার কথা। তবে ইতিমধ্যে খালটি খননের প্রায় ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। কিন্তু খালের শেষপ্রান্তে ৫২ শতক জমি ব্যক্তিগত সম্পত্তি বলে দাবি করছে একটি কৃষক পরিবার। আর তাদের বাধার কারণেই খাল খনন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। 

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম জানান, আজিজুল হাকের বাগড়ায় খনন কাজ বন্ধ আছে। 

কৃষক আজিজুল হক বলেন, যে জমির ওপর দিয়ে খাল খনন করা হচ্ছে সেটি তাদের কেনা সম্পত্তি। স্থানীয় স্বার্থন্বেষী একটি মহলের প্ররোচনায় নকশা পরিবর্তন করে খাল খনন করা হচ্ছে। 

আরেক পক্ষের নেতা মশিউর রহমানসহ একাধিক ব্যক্তির দাবি, বিগত সময়ে ওই জমির ওপর দিয়ে সরকারি উদ্যোগে খাল খনন করা হয়। সে সময়ে কেউ বাধা দেয়নি। কিন্তু এখন আজিজুল হকের পরিবার থেকে কেনা সম্পত্তি দাবি করে বাধা দেওয়া হচ্ছে। 

এদিকে এই খাল খনন নিয়ে দু’পক্ষের লোকজন মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ায় যে কোনো সময় সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ বলেন, ঘটনাটি নিয়ে উভয়পক্ষ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি বিবাদমান দুই পক্ষকেই শান্ত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

ইত্তেফাক/এসি