শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সাভারে প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৬:৪৩

সাভারে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় স্কুলছাত্রীকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। গত রবিবার রাত ৯টার দিকে সাভার পৌর এলাকার কাজী মোকমাপাড়া মহল্লার একটি পরিত্যক্ত বাড়ির ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত স্কুলছাত্রীর নাম নীলা রায় (১৫)। ডাক্তার দেখিয়ে সে ঐ সময় বাড়ি ফিরছিল।

সে মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার বালিরটেক গ্রামের নারায়ণ রায়ের মেয়ে। পরিবারের সঙ্গে পৌর এলাকার কাজী মোকমাপাড়া মহল্লার শিতল ভিলায় ভাড়া থাকত। স্থানীয় অ্যাসেড স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ত নিলা। অন্যদিকে অভিযুক্ত বখাটে মিজানুর রহমান চৌধুরী (২২) স্থানীয় কলেজেক্স কলেজের ছাত্র। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, স্কুলছাত্রী নিলা রায় ও বখাটে যুবক মিজানুর রহমান পৌর এলাকার বাসিন্দা। সেই সুবাধে মিজানুর দীর্ঘদিন ধরে নিলা রায়কে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু ধর্মীয় কারণে নিলা তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এরপর থেকে মিজানুর তাকে বিভিন্ন সময় নানাভাবে উত্ত্যক্ত করত।

রবিবার রাত ৯টার দিকে নীলা তার ভাইকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরছিল। সাভার গার্লস স্কুলের পাশের গলিতে পৌঁছলে আগে থেকে ওত পেতে থাকা বখাটে মিজানুর ও তার কয়েক জন সহযোগী তাদের রিকশার গতিরোধ করে। পরে জোর করে নীলা ও তার ভাইকে রিকশা থেকে নামিয়ে এ-৬১/৪ নম্বর মিজানদের পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নীলাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তার প্রস্তাবে রাজি হওয়ার জন্য ভয়ভীতি দেখায়। কিন্তু নীলা এতেও রাজি না হওয়ায় মিজানুর ক্ষিপ্ত হয়ে নীলাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় নীলার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে আসে। গুরুতর আহত নীলাকে সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তার মৃত্যু হয়।

সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাইদুর রহমান জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।