শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মির্জাপুরে বন্যায় পৌরসভার নয় ওয়ার্ডের রাস্তা ব্রিজ-কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত

আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:১৫

দীর্ঘস্থায়ী বন্যা এবং টানা বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌরসভার নয় ওয়ার্ডের এলজিইডির অধিনে ৩০ কি. মি. কাঁচ-আধাপাকা রাস্তা ও ব্রিজ-কালভার্ট ভেঙে প্রায় ১৮ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

রাস্তা-ঘাট এবং ব্রিজ-কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগের ক্ষেত্রে পৌরবাসিদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।  ক্ষতির সঙ্গে নতুন করে যোগ হচ্ছে বংশাই ও লৌহজং নদী ভাঙ্ন।

বুধবার মির্জাপুর পৌরসভা সূত্র জানায়, গত কয়েক মাসের দীর্ঘ স্থায়ী বন্যা এবং অতি বৃষ্টির ফলে নয় ওয়ার্ডের রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ কালভার্ট নষ্ট হয়ে প্রায় ১৮ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। বংশাই ও লৌহজং  নদী ভাঙনে ঘরবাড়ি হারিয়ে অনেক পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। পোষ্টকামুরী, বাওয়ার কুমারজানি, গাড়াইল ও ত্রিমোহন এলাকায় নদী ভাঙন সবচেয়ে বেশি।

পৌরসভার কাউন্সিলর আলী আজম সিদ্দিকী ও মো. সাজু মিয়া জানিয়েছেন, বন্যা ও অতি বৃষ্টিতে তিন নম্বর ওয়ার্ডের কুমুদিনী হাসপাতাল- বাইপাস-ত্রিমোহন-বংশাই রোড, কলেজ রোড, থানা রোড, বাওয়ার রোড ও ইউনিয়নপাড়া রোডসহ সাতটি রোড, এক নম্বর ওয়ার্ডের পুষ্টকামুরী ( চরপাড়া ও পুষ্টকামুরী রাস্তার উত্তর অংশ) পাঁচটি রোড, দুই নম্বর ওয়ার্ডের (পুষ্টকামুরী দক্ষিণ ও বাইমহাটি পশ্চিম অংশ) পাঁচটি রোড, চার নম্বর ওয়ার্ডের (গাড়াইল, ত্রিমোহন) তিনটি রোড, পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের (বাওয়ার কুমারজানি) এলাকায় ছয়টি রোড, ছয় নম্বর ওয়ার্ডের (পালপাড়া ও বাইমহাটি পূর্ব) পাঁচটি রোড, সাত নম্বর ওয়ার্ডের (সরিষাদাইর) পাঁচটি রোড, আট নম্বর ওয়ার্ডের (সাহাপাড়া) পাঁচটি রোড এবং নয় নম্বর ওয়ার্ডের (কান্ঠালিয়া, কুতুব বাজার) চারটি রোড। এছাড়া পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের ৮-১০ ছোট বড় ব্রিজ ও কালভার্টের ক্ষতি হয়েছে।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. মঞ্জুর হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দীর্ঘ  স্থায়ী বন্যা এবং অতি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ কালভাট এবং নদী ভাঙনের ফলে কাঁচা-আধা পাকায় ৩০ কি. মি রাস্তায় প্রায় ১৮ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অধিকাংশ রাস্তা-ঘাট ও ব্রিজ এলজিইডির অধিনে। পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরদের মাধ্যমে তালিকা সংগ্রহের কাজ চলছে। প্রয়োজনীয় বরাদ্ধ চেয়ে প্রকল্প তৈরী করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে।

এ ব্যাপারে পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র চন্দনা দে বলেন, বন্যা ও অতি বৃষ্টিতে মির্জাপুর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট এর প্রকল্প ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরীর কাজ চলছে। প্রকল্পের জন্য বরাদ্ধ চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, এডিবি, জাইকা ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হচ্ছে। বরাদ্ধ এলে দ্রুত কাজ করা হবে।

ইত্তেফাক/এমআরএম