শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পুরাতন ভবন ভাঙার সময় চাপা পড়ে শ্রমিকসহ নিহত ২

আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২১:৪৭

গাইবান্ধায় পুরাতন ভবন ভাঙার কাজ করতে গিয়ে চাপা পড়ে আজাদ হোসেন (৪২) নামে এক নির্মাণ শ্রমিক এবং আব্দুল ওয়াহেদ (৫৫) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও ২ নির্মাণ শ্রমিক আহত হন। বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর বেলা ১টার দিকে জেলা শহরের ডিবি রোডস্থ সাব-রেজিস্টার অফিস সংলগ্ন এলাকায় শাহজাহান আলীর পুরাতন দোকান ঘর ভাঙার সময় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত আজাদ হোসেন গাইবান্ধা সদর উপজেলার খামার বোয়ালী গ্রামের আব্দুল মজিদ মিয়ার ছেলে এবং আব্দুল ওয়াহেদ  ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গোবিদা নগর এলাকার বাসিন্দা। আব্দুল ওয়াহেদ গাইবান্ধা বিসিক শিল্পনগরীর অফিস সহায়ক পদে কর্মরত ছিলেন। 

আহত দুই নির্মাণ শ্রমিককে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, বুধবার সকাল থেকে নির্মাণ শ্রমিকরা শাহজাহান আলীর পুরাতন পাকা দোকান ঘর ভাঙার কাজ করছিলেন। দুপুর ১টার দিকে ওই দোকানের একটি বিম ভেঙে গেলে দেয়াল ও ছাদ ধ্বসে পরে। এই বিমের নিচে চাপা পড়ে আজাদ হোসেন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় ওই পথ ধরে যাওয়ার সময় আব্দুল ওয়াহেদ চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। খবর পেয়ে গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে।

আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রী নীলা হত্যা: অভিযুক্ত মিজানের সহযোগী গ্রেফতার

তিনি আরও জানান, স্থাপনা ভাঙার সময় এখানে কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না বলেই এই প্রাণহানি ঘটেছে। 

গাইবান্ধা সদর থানার ও সি খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘নিহত দুইজনের মরদেহ তাদের স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, গাইবান্ধা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের  সামনে থেকে বড় মসজিদ পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার সড়ক ফোরলেনে সম্প্রসারণ করার জন্য এই সড়কের দুইপাশে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য সড়কের দুইপাশে অধিগ্রহণ করা জায়গা থেকে স্থাপনা সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী প্রত্যেক ব্যবসায়ী তাদের নিজ নিজ দায়িত্বে শ্রমিক দিয়ে স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছেন। 

ইত্তেফাক/এএএম