বিশ্বজুড়ে এখন সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস। এর সাথে দেশের পদ্মা, যমুনা ও কপোতাক্ষ নদীর পানি বৃদ্ধি ও বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে কয়েকটি জেলা প্লাবিত হয়েছে। এরমধ্যে সিরাজগঞ্জ জেলাও বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়। টানা বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলের কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়। করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মাঝে বন্যায় এ এলাকার মানুষ চরম অসহায় পরিস্থিতিতে পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে এসব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আরিফুল ইসলাম।
সিরাজগঞ্জ জেলার করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের প্রথম পর্যায়ে দেড়শ রিকশা ও ভ্যানচালক, দ্বিতীয় পর্যায়ে একশ দোকানদার, তৃতীয় পর্যায়ে ৬০টি পরিবার ও চতুর্থ পর্যায়ে ৫০টি পরিবারকে সহায়তা প্রদান করেন। ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে চাল, ডাল, লবণ, পেঁয়াজ, সেমাই, চিনি, দুধ, আলু ও সাবান ইত্যাদি ছিল। সর্বশেষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকার ২০০টি পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি। এছাড়াও তার নেতৃত্বে সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার ছোনগাছা, বাগবাটী, বহুলী, রতনকান্দি ও কাজিপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাঁচ শতাধিক বৃক্ষরোপণ করা হয়।
এ কার্যক্রমে আরিফকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন সদ্য প্রয়াত নেতা মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়।
ত্রাণ সামগ্রী প্রাপ্ত সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের ছফুরা খাতুন বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে ঠিক মতো খাবার যোগাড় করতে পারছিলাম না। তারমধ্যে আবার বন্যার পানি আসে। ফলে তিন বেলার খাবার যোগাড় করতে হিমসিম খাচ্ছিলাম। সে সময় ছাত্রলীগের ছেলেরা কয়েকদিনের খাবার দিয়েছিলো। তাই কিছুদিন চিন্তামুক্ত হয়েছিলাম।’
ত্রাণ সহায়তার প্রসঙ্গে আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘করোনা মহামারীর শুরু থেকেই এলাকায় অবস্থান করছি। এসময় যতোটা সম্ভব অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। কয়েক পর্যায়ে কয়েক’শ পরিবারের কাছে খাদ্য দ্রব্য ও নিত্য-সামগ্রী ছাত্রলীগের ছোট ভাইদের সহায়তায় পৌঁছে দিয়েছি। সিরাজগঞ্জ-১ আসনের গণমানুষের নেতা প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় ভাইয়ের সহযোগিতায় ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশক্রমে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ও বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেছি।’
ইত্তেফাক/বিএএফ