শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কক্সবাজারে অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে বিআরটিএ ও জেলা প্রশাসনের অভিযান

আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২২:৩০

কক্সবাজারে বেপরোয়া গতি, ফিটনেসহীনতা ও অবৈধ পার্কিংসহ যানবাহনের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে বিআরটিএ'র সহযোগিতায় অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টা হতে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলা ভ্রাম্যমাণ আদালতে ফিটনেস ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরযানের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা করা হয়েছে। এতে ১০ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে। 

পর্যটন জোন কলাতলীর ডলফিন মোড়ে চলা অভিযানে সড়ক আইন অমান্যকরা কয়েক ডজন যানবাহনকে ধরে পরবর্তীতে একই অপরাধ না করার প্রতিশ্রুতিতে  হুশিয়ারিমুলক মুচলেকা নেয়া হয়েছে। ফিটনেস না থাকাসহ পরিবহণ আইনে গুরুত্বর অপরাধের দায়ে ১১টি মামলায় জরিমানা আদায় করা হয়েছে। 

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) কক্সবাজার সার্কেলে মোটরযান পরিদর্শক আরিফুল ইসলাম জানান, নানা কারণে রেজিস্ট্রেশন করা যানবাহনও ফিটনেস নবায়ন করছে না। অনেকে লাইসেন্স না নিয়েই সড়কে দিব্যি চলাচল করছে। আবার অনেকে বিনা ড্রাইভিং লাইসেন্সে চালাচ্ছে গাড়ি। ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা। এসব বিষয় মাথায় নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় বুধবার বিকেল ৫টা থেকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিধান কান্তি হালদারের নেতৃত্বে কলাতলীর প্রধান সড়কে মোবাইল কোর্ট  পরিচালনা করা হয়। আইন অমান্যের আওতায় পড়া বেশ কিছু সিএনজি আটকানো হয়। ফিটনেস না থাকাসহ নানা গুরুত্বর অপরাধে ১১টি যানবাহনকে পৃথক ভাবে মামলায় জরিমানা করে ১০ হাজার ২০০ টাকা আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে। এসময় প্রসিকিউটর হিসেবে তিনি (মোটরযান পরিদর্শক আরিফুল ইসলাম) দায়িত্ব পালন করেন। 

অভিযানে পুলিশ, আনসার সদস্য ও প্রশাসনের অন্য সদস্যর উপস্থিত ছিলেন।  

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিধান কান্তি হালদার বলেন, সামনে পর্যটন মৌসুম আসছে।এ সময়ে পর্যটন সেবায় বৈধ যান চলাচলের নিমিত্তে বিআরটিএ কক্সবাজার অফিসের প্রস্তাবে জেলা প্রশাসন পরিবহনের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো শুরু করেছে। প্রাথমিক ভাবে জরিমানা ও হুশিয়ারি দিয়ে সমস্যা সমাধানে চেষ্টা চালাচ্ছেন ভ্রমমাণ আদালত পরিচালনা কারিরা। এটি অব্যাহত থাকবে বলে জানায় বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ।

ইত্তেফাক/এমএএম