সাভারের আশুলিয়ায় অপহরণের পর মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে এক কিশোরকে নির্মম ভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আশুলিয়া থানা যুবলীগ সদস্য আবুল হোসেন আপনকে (২৬) তিন সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার ভোর রাতে আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের কন্ডা এলাকা থেকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাদেরকে গ্রেফতার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। আটক যুবলীগ নেতা আপন কন্ডা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুল হোসেন আপন (৩০), পবনারটেক এলাকার আদিল (২২), শ্রীপুর এলাকার কামরুল ইসলাম (২১) ও জিরানী বাজার এলাকার রুবেল ইসলাম (২১)।
এদিকে আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আপনকে অনৈতিক কর্মকান্ড ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সংগঠন থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। ঢাকা জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ২১ সেপ্টেম্বর সোমবার লালমনিরহাটের কাজী কলোনী গ্রামের মিছির আলীর ছেলে সবুজ মিয়া (১৭) ও একই এলাকার জাহিদুল ইসলাম (১৬) অভিমান করে বাড়ী থেকে আশুলিয়ার মোজারমিল এলাকায় বোনের বাড়ীতে বেড়াতে আসে। সাভার ইপিজেড বাসষ্ট্যান্ডে রাত ১টার দিকে বাস থেকে নেমে গভীর রাত হওয়ায় বোনের বাসা খুজে না পেয়ে মোজারমিল বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করতে থাকে। এ সময় তাদেরকে অপহরণ করে একটি চক্র। পরে তাদের আত্মীয়দের কাছে মুঠোফোনে বিকাশের মাধ্যমে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করেন অপহরণকারীরা। এসময় মুক্তি পণের টাকা না পেয়ে অপহৃত দুইজনকে বেধড়ক মারধর করে অপহরণকারীরা। এতে সবুজ মিয়া ও জাহিদুল ইসলাম অচেতন হয়ে পড়ে। দুর্বৃত্তরা সবুজ ও জাহিদুলকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সবুজকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার ও জাহিদুলকে গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে। এঘটনায় নিহতের বোন বাদী হয়ে ২৪ সেপ্টেম্বর আশুলিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা ১৩ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার সুত্র ধরেই আশুলিয়া থানা যুবলীগের সদস্য আবুল হোসেন আপন ও তার ৩ সহযোগীকে গ্রেফতার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
এব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) সুদীপ কুমার বলেন, এ ঘটনায় সবুজের বোন বিউটি আক্তার অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন। প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে গত শুক্রবার রাতে আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ইত্তেফাক/এমআরএম