শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সমুদ্রপথে পেঁয়াজ আমদানিতে আগ্রহী না হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা

আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২০, ১৩:৩৫

বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ভারতের বেঁধে দেওয়া এই শর্তে পেঁয়াজ আমদানি করতে আগ্রহী হচ্ছে না দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবী, হিলি স্থলবন্দর দিয়েই রপ্তানি করতে হবে। সমুদ্র পথ দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি সম্ভব না।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকেরা জানান, কোন পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ভারত সরকার গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। ফলে অস্থির হয়ে উঠে পেঁয়াজের বাজার। আর একারণে হিলি স্থলবন্দরের মোকামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারতীয় পেঁয়াজ ৮০-১০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়। বর্তমানে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ নেই বললেই চলে। এই অবস্থায় হিলিসহ বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার, পাকিস্তান ও চীন থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেন। ভারত আবার বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির আগ্রহ দেখাচ্ছে।

বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এলসি করার পরও ভারত আমাদের পেঁয়াজ দিচ্ছে না। এতে করে আমরা ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে চরম লোকসানে রয়েছি। পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের একটার পর একটা সিদ্ধান্ত আমাদের ভাবিয়ে তুলছে। আমরা ভারতের ব্যবসায়ীদের বলে দিয়েছি, নদী কিংবা সমুদ্র পথে পেঁয়াজ আমদানি করা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। কারণ সমুদ্র পথে ঝুঁকি রয়েছে। তাছাড়া সমুদ্র পথে আমরা কখনো আমদানি করিনি এবং পরিচিতও না।

এদিকে বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, টানা এক মাসের উপরে হলো ভারত সরকার আমাদের দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রেখেছে। আবার তারা গত ৯ অক্টোবর নতুন করে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করার আগ্রহ দেখিয়ে কয়েকটি শর্ত দিয়েছে। এই খবরে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ভারতের শর্তে বলা হচ্ছে আপাতত স্থলবন্দর দিয়ে তারা পেঁয়াজ রপ্তানি করবে না। চেন্নাই সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে তারা রপ্তানি করবে। কিন্তু তাদের এসব শর্তে আমদানি করতে রাজী না। যদি রপ্তানি করতে হয় তাহলে হিলি স্থলবন্দর দিয়েই করতে হবে। সমুদ্র পথ দিয়ে আমরা আগ্রহী নয়। আমরা যারা ব্যবসায়ীরা এখন অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছি, সেই গতিকে থামিয়ে দেওয়া এটা তাদের কৌশল হতে পারে! একারণে তারা আগ্রহ দেখাচ্ছে।

ইত্তেফাক/এমআরএম