শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বেগমগঞ্জে সংখ্যালঘু পরিবারে হামলা ভাঙচুর, সালিশে বসতে উঠেপড়ে লেগেছেন জনপ্রতিনিধিরা

আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২০, ১৭:৫৪

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সংখ্যালঘু একটি পরিবারের ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় নারীসহ ওই পরিবারের ছয়জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। ছিনিয়ে নেওয়া হয় নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার। এসময় আহত হন পরিবারটির ছয়জন। 

শাজাহান গংদের আক্রমণে আহতরা হলেন- সুমন চন্দ্র দাস (২৬), মা গীতা রানী দাস (৫৫), বোন পূর্নিমা রানী দাস (৩২), ভাই তপন চন্দ্র দাস (৩০), কাকা হারাধন চন্দ্র দাস (৫৫), কাকাতো ভাই ছোটন চন্দ্র দাস (২০) আহত হয়। আহতদের বেগমগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের লতিফপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল হোসেন সেলিম থানায় অভিযোগ দিতে বাধা ও সালিশে বসার জন্য তৎপর ছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনের শিকার ওই পরিবারটি অভিযোগ, ভিটেমাটি ছাড়া করতে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন ও হয়রানি করে আসছিলেন শাহজাহান গংরা।

নির্যাতনের শিকার ওই পরিবারের সুমন চন্দ্র দাস জানান, ঘটনার দিন স্থানীয় জমিদারহাট নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যবসার টাকা নিয়ে বাড়ি পৌঁছে ঘরে ঢোকার মূহুর্তে একই শাজাহান ও জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে একদল লোক অতর্কিতভাবে মারধর শুরু করে। এসময় চিৎকার করলে ঘর থেকে মা, ভাই, বোন, কাকা, কাকাতো ভাই বের হয়ে এলে তাদের বেদম মারপিট ও ঘরে ভাঙচুর চালায়। এসময় হামলাকারীরা ব্যবসার ৭০ হাজার টাকা ও গলায় থাকা সোনার চেন ছিনিয়ে নেয়।  

সুমন ও তার পরিবার আরও জানায়,  তাদের বাড়ির এক অংশীদারের কাছ থেকে শাজাহানের পিতা মৃত আবদুল মালেক কিছু জায়গা কিনে ঘর তুলে বসবাস করছেন। এরপর থেকে তাদের  তাদের পরিবারকে ভিটেবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য শাজাহান গং বিভিন্নভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করে আসছেন। কিন্তু স্থানীয়ভাবে কোনো সহযোগিতা 
পাওয়া যায়নি। 

স্থানীয় রছুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল হোসেন সেলিম জানান,  ঘটনা সম্পর্কে শুনেছি। থানায় মামলা না করে সালিস বৈঠকের মাধ্যমে সুরাহা করার চেষ্টা করবো।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টর বিপ্লব কুমার সিংহ জানান, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে জাহাঙ্গীর নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অনেক লোক এমনকি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তদবির করেছেন গ্রেফতার ব্যক্তিকে ছেড়ে দিয়ে সালিশ বৈঠক করতে। তাদের কথায় কর্ণপাত করা হয়নি। এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় চারজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ইত্তেফাক/এসি