শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

নড়াইলে অচেতন অবস্থায় হাত-পা-মুখ বাঁধা তরুণী উদ্ধার

আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২০, ১৭:০৪

নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অনার্স পড়ুয়া এক ছাত্রীকে হাত, পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টা দিকে নড়াইল শহরের কুড়িগ্রামে চিত্রশিল্পী এসএম সুলতান কমপ্লেক্সের পাশ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে ওই রাতেই তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রবিবার সকাল ১০টার দিকে তার জ্ঞান ফেরে।

ওই কলেজছাত্রীর বাড়ি কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ি ইউনিয়নে।

মেয়েটির বাবা জানান, সে প্রতিদিনের মতো সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি থেকে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজের হোস্টেলের পাশে কোচিং করতে আসে। সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে তার সঙ্গে কথা হলে একটি নতুন মোবাইল সিম কিনতে বলি। এরপর আর কথা হয়নি। দুপুরে বাড়িতে না আসায় তাকে ফোন করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মেয়ের নতুন মোবাইল নম্বর থেকে আমার কাছে ফোন করে বলা হয় মেয়েকে পেতে হলে পাঁচ লাখ টাকা লাগবে। তখন আমি পুলিশে যোগাযোগ করি। পরে সন্ধ্যার পর এক নারী কণ্ঠে মেয়ের পুরোনো ফোন নাম্বার থেকে আমাকে ফোন করে বলা হয় সুলতান কমপ্লেক্সের পাশ থেকে মেয়েকে নিয়ে যেতে।  

এ সময় সদর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ মেয়েকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। রবিবার সকাল ১০টার দিকে মেয়েটির জ্ঞান ফেরার পর সে বলেছে, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে রূপগঞ্জ নিশিনাথতলা থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য ভ্যানে ওঠে। পরে মাছিমদিয়া সুলতান সেতুর কাছে গেলে একজন মুখে রুমাল ধরলে তার আর কিছু মনে নেই।

এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. মশিউর রহমান বাবু বলেন, রবিবার সকাল ১০টার দিকে মেয়েটির জ্ঞান ফিরেছে। তার সকল ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্ট পেতে দু’একদিন সময় লাগবে। 

এ ব্যাপারে নড়াইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ইলিয়াছ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে সদর থানায় মামলা করেছেন। জড়িত কাউকে এখনও আটক করা যায়নি।  

ইত্তেফাক/এসি