বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মির্জাপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ময়লা আবর্জনা ফেলার স্থান

আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২০, ০৮:৫৩

মির্জাপুরে পৌরসভার রাস্তা-ঘাট ও বাসাবাড়ির আশপাশে ময়লা আবর্জনার পচা দুর্গন্ধে পথচারীরা বিপাকে পরেছেন। সদরের পুষ্টকামুরী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান গেট এবং এমপির বাস ভবন সংলগ্ন পঁচা-ময়লা আবর্জনা ফেলায় দুর্গন্ধে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও পথচারীদের চলাচল দুষ্কর হয়ে পরেছেন বলে অভিযোগ করেছেন। দীর্ঘ দিন ধরে এই বিদ্যালয় ও এমপি মহোদয়ের বাস ভবনের আশপাশের পৌর বাসিন্দারা বাসাবাড়ির পচা ময়লা আবর্জনা ফেলায় দুর্গন্ধে একদিকে পরিবেশ যেমন বিষিয়ে উঠেছে তেমনি নানা রোগ ছড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার পৌরসভার বিভিন্ন রাস্তা এবং পৌরসভার ভিতর দিয়ে যাওয়া ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পুরাতন রোডে গিয়ে ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে রয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলা সদরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের উত্তর পাশে পুষ্টকামুরী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মির্জাপুর আফাজ উদ্দিন সিনিয়র দাখিল মাদ্রাসা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. একাব্বর হোসেন এমপি, সভাপতি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বাস ভাবন। এখানে পৌরসভার একটি রাস্তা কাঁচা বাজার থেকে ডাক বাংলো হয়ে পুষ্টকামুরী গ্রামের দিকে সংযোগ হয়েছে। দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্তত এক হাজার শিক্ষার্থী নিয়মিত পাঠদান করে আসছে। শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন প্রায় ৩০ জন। এখানে এমপি মহোদয়ের বাস ভবন থাকায় বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা দলীয় নেতাকর্মীরাও নিয়মিত যাতায়াত করে থাকেন। কিন্ত জনগুরুত্বপুর্ণ রাস্তা ও বিদ্যালয়ের দেয়াল ঘেষে আশপাশের বাসিন্দারা পচা-মযলা আবর্জনা ফেলায় দুর্গন্ধে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল দুষ্কর হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার পক্ষ থেকে দেয়ালের গায়ে লাল কালি দিয়ে লেখা হয়েছে-এখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা নিষেধ। আদেশক্রমে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্ত এই সতর্ক বাণী কেউ না মেনে প্রতিনিয়তই পচা-ময়লা আবর্জনা ফেলে যাচ্ছেন রাস্তার উপর। যেন দেখার কেউ নেই। একই অবস্থা পৌরসভার কাঁচা বাজার রোড, কালিবাড়ি রোড, আশকবর ভবনের পশ্চিম পাশ, সড়ক ও জনপথ রোড, কুমুদিনী হাসপাতাল রোড, কলেজ রোড, শহীদ মিনার রোড, বাওয়ার রোড, ইউনিয়নপাড়া রোড, বংশাই রোড, হাসপাতাল রোড, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পুরাতন রোডের আশপাশসহ বিভিন্ন রাস্তার পাশে ও উপরে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ের দেয়াল সংলগ্ন পঁচা-ময়লা আবর্জনা না ফেলার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও পৌরমেয়র মহোদয়কে একাধিকবার অনুরোধ করা হয়েছে। তারপরও আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় কোমলমতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। পঁচা দুর্গন্ধে ক্লাসে বসে পাঠদান করা দুষ্কর। অনেকেই নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিষয়টির দিকে সু-নজর দেওয়ার জন্য তিনি পৌর কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিমুল বলেন, পরিবেশ রক্ষার জন্য সাধারণ লোকজনের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। পৌর শহরের আশপাশের বাসিন্দাদের রাস্তার উপর ও গুরুত্বপুর্ণ স্থানে বাসা বাড়ির ময়লা আবর্জনা না ফেলার জন্য পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সতর্কসহ নিয়মিত কাজ করে আসছেন। অনেকে না বুঝেই রাস্তা ও দেয়াল ঘেষে ময়লা আবর্জনা ফেলে থাকেন। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

ইত্তেফাক/আরকেজি