শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া: বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটে নৌ চলাচল বন্ধ

আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২০, ১৬:২৭

রাতভর ভারি বর্ষণে শুক্রবার ছুটির দিনে জনজীবন থমকে গেছে। ডুবে গেছে বরিশাল নগরীর প্রধান প্রধান সড়কসহ দক্ষিণের নিম্নাঞ্চল। 

আবহাওয়া অফিস শুক্রবার দুপুর ১২টায় জানায়, বিগত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে ১৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৈরী আবহাওয়া ও নদীবন্দরগুলোতে দুই নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করায় বরিশালের অভ্যন্তরীণ ১৩টি রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। 

বরিশাল নৌবন্দর কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান শুক্রবার দুপুর ২টায় জানান, বৈরী আবহাওয়ায় নৌবন্দরে ২ নম্বর সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যে কারণে বরিশালের অভ্যন্তরীণ ১৩টি রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকাল থেকে বরিশাল নদীবন্দর থেকে কোনো লঞ্চ অভ্যন্তরীণ রুটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি। আবার কোনো লঞ্চ বরিশাল নদীবন্দরে যাত্রী নিয়েও আসেনি। তবে ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চ চলাচল করবে। 

এদিকে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ও বৃষ্টিপাতের কারণে নগরীর বিভিন্ন সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নগরজীবন। এছাড়া বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। সরেজমিনে নগরীর বগুড়া রোড, সদর রোড, ফকিরবাড়ি রোড, কাউনিয়া, নবগ্রাম রোড পানিতে তলিয়ে থাকতে দেখা গেছে। বর্ষণে নগরীর রাস্তাঘাট ফাঁকা দেখা গেছে।

আরও পড়ুন: চিকিৎসার নামে অভিনব প্রতারণা, ভুয়া ডাক্তার গ্রেফতার

বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি এখন গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তবে একটানা মুষলধারায় বৃষ্টি হওয়ায় এটি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশল বিভাগ জানিয়েছে, সর্বশেষ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া আবুপুরের নয়াভাঙ্গলী নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার, ভোলার দৌলতখানের মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ও ভোলার তেতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আর সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী, বরিশালের পার্শ্ববর্তী ঝালকাঠি জেলায় ১৭৭ মিলিমিটার, ভোলায় ১৭৫ মিলিমিটার, বরগুনায় ২৩৫ মিলিমিটার, পিরোজপুরে ১২০ মিলিমিটার, পটুয়াখালীতে ১৫৪ মিলিমিটার এবং সাগর তীরবর্তী খেপুপারায় ২২৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে। 

ইত্তেফাক/এএএম