বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মির্জাপুরে ২৬ কমিউনিটি ক্লিনিকে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগের শিকার রোগীরা

আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২০, ১৭:৩৭

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় পানি কমতে শরু করলেও বন্যায় ২৬ কমিউনিটি ক্লিনিকে এখনও জলাবদ্ধতা থাকায় চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের। বন্যা কবলিত কমিউনিটি ক্লিনিকে জলাবদ্ধতা থাকায় কর্মরত চিকিৎসক, পরিদর্শিকা এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা নৌকা ও ভেলায় করে ঝুঁকির মধ্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আজ শুক্রবার বন্যা কবলিত কয়েকটি কমিউনিটি ক্লিনিকে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে বন্যার পানিতে জলাবদ্ধতা।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিস সূত্র জানায়, মির্জাপুর পৌরসভা এবং ১৪ ইউনিয়নে ৫৪ টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এসব কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসক, পরিদর্শিকা এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা এলাকার অসহায় রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও মির্জাপুরে ৫৪ কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে ২৬ ক্লিনিক এখনও বন্যা কবলিত। বন্যা কবলিত কমিউনিটি ক্লিনিক হচ্ছে মির্জাপুর পৌরসভা-২, মহেড়া-৩, জামুর্কি, ফতেপুর-৪, বানাইল-৩, আনাইতারা-৩, ওয়াশি-৪, ভাতগ্রাম-৩, বহুরিয়া-৪ ও লতিফপুর-২। 

বন্যার পানি নিমজ্জিত এসব কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত চিকিৎসক, পরিদর্শিকা এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা গত আড়াই মাস মাস ধরে নিজেদের উদ্যোগে নৌকা ও ভেলায় অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। ২৬ কমিউনিটি ক্লিনিকে বন্যার পানি প্রবেশ করায় এসব কেন্দ্রের চিকিৎসা যন্ত্রপাতি এবং প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অফিস সূত্র জানিয়েছে। 

উপজেলার ২ নং জামুর্কি, ৩ নং ফতেপুর, ৮ নং ভাতগ্রাম এবং ৭ নং বহুরিয়া ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে গিয়ে দেখা গেছে বন্যা কবলিত কমিউনিটি ক্লিনিক ঝুঁকিপূর্ণ। 

আরও পড়ুন: রংপুরে পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে দেওয়া শ্রমিকের মৃত্যু

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, একটি পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়নে ৫৪ কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। অধিকাংশ ক্লিনিক বন্যা কবলিত ও জলাবদ্ধতা। গত আড়াই মাস ধরে ঐসব ক্লিনিকে কর্মরত চিকিৎসক, পরিদর্শিকা এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা নৌকা ও ভেলায় ঝুঁকির মধ্যেও ঘুরে ঘুরে বাড়ি বাড়ি বিনামূল্যে রোগীদের পরামর্শ, সেবা ও ঔষধ দিয়ে যাচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ক্লিনিকগুলো সংষ্কারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা. মাকসুদা খানম বলেন, বন্যায় উপজেলার ৫৪ কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে ২৬ ক্লিনিক জলাবদ্ধতার কারণে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে সেবা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রদানের জন্য তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।

ইত্তেফাক/এএএম